সুবিধা চালুর সপ্তাহ না গড়াতেই বিরক্তি আর অভিযোগের বন্যা বইছে ‘রেলসেবা’ অ্যাপ নিয়ে। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, খুব নিম্নমানের ইউজার ইন্টারফেস দেয়া হয়েছে অ্যাপে। এতে প্রবেশ করতে গেলে বারবার লগ ইন করতে হয়।
ট্রেনের অভ্যন্তরের ছবির যে অপশন দেওয়া আছে, তাতে সব ট্রেনের একই ছবি দেখায়। আর ধীরগতির জন্য অ্যাপটি হয়ে উঠেছে বিরক্তিকর। আর এসব ভোগান্তির কথা ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
গত ২৮ এপ্রিল অ্যাপটি লঞ্চ করার পর এখনও পর্যন্ত কোনো আপডেট হয়নি। দেশের ডেভলপাররা এর চেয়ে ভালো ইন্টারফেসের অ্যাপ তৈরি করছে; যার ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ প্লে স্টোরে রয়েছে। দেশের ডেভেলপারদের তৈরি অ্যাপে দিব্যি চলছে ই-কমার্স প্লটফর্মে কেনা-কাটা।
অভিযোগ আছে, রেলের অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে হাতে গোনা কয়েকটি ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড এবং মোবাইল ট্রানজেকশনের সুযোগ আছে। কিন্তু দেশের অন্যান্য অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েগুলো ২০টির বেশি কার্ড এবং মোবাইল পেমেন্টের সুযোগ দিচ্ছে। কিন্তু সীমিত অপসন থাকায় সুবিধামতো পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করতে পারছেন না রেল যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ তলিয়ে দেখতে গিয়ে অ্যাপটির পরীক্ষা চালিয়েছে ডিজিবাংলা। কথা বলেছে অ্যাপ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।
অ্যাপ ডাউনলোড করে দেখা গেছে, লগইন এর ক্ষেত্রে কেবল মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের উল্লেখ থাকলেও নেই পাসপোর্ট অপশন। ফলে ভ্রমণপিপাসু বিদেশীদের জন্য অনলাইনে টিকেট কাটার সুবিধাটি মিলছে না।
আবার নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিও খুব একটা সহজ নয়। টিকেট কাটতে অন্তত ১৫ মিনিট সময় লেগে যাচ্ছে।
যাত্রীর মোবাইল নম্বরের ওপর ভিত্তি করে পিএনআর নম্বর তৈরি করা হলেও যাত্রী কোনো কারণে যদি মোবাইল হারিয়ে ফেলেন অথবা নম্বর পরিবর্তন করেন এই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করা যায় না।
ফিরতি মেইল এবং এসএমএস পেতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে।
অ্যাপে ‘রিমেম্বার মি’ অপশন না থাকায় ব্যবহারকারীকে একই নির্দেশনা বারবার প্রতিপালন করতে হচ্ছে।
অ্যাপ্লিকেশন যথেষ্ট ল্যাগ রয়েছে। এই কারণে এটি স্মুথলি রান করে না।
এছাড়াও জিপিএস ট্রাকিং না থাকায় যাত্রীরা স্টেশনে না গিয়ে ট্রেনের অবস্থান শনাক্ত করতে পারছেন না।