রাজধানীর গুলশান, বনানী, মিরপুর ও বাড্ডায় যে কোনো সময় কাটা পড়তে পারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। এসব এলকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ব্যবহার করে স্থাপিত ঝুলন্ত ইন্টারনেট সংযোগের তার অপসারণ কার্যক্রম গ্রহণ করায় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সূত্রমতে, বৈদ্যুতিক খুঁটি ব্যতীত ইন্টারনেটের তার পরিবহনের বিকল্প কোনো পথ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে না থাকলেও লাইনগুলো আগামী ৩১ মে’র মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ডেস্কো।
গত ৫ মে ডেসকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মফিজুল ইসলাম ভুঞা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা আইএসপিএবি ও কোয়াব বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ইন্টারনেট এবং ক্যাবেল টিভির তারগুলো বৈদ্যুতিক খুঁটি ব্যাবহার না করে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) প্রতিষ্ঠান স্থাপিত আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তবে মাটির নিচ দিয়ে লাইন পরিচালনার অধিকার মাত্র দুইটি এনটিটিএন কোম্পানির কাছে থাকায় ব্যবসায়িক হুমকিতে পড়েছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এবিষয়ে আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ডিজিবাংলা-কে বলেন, দেশজুড়েই ইন্টারনেট সেবা পরিবহন ও পরিচালন পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা চলছে। সেই বিশৃঙ্খলার সুরাহা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে গ্রাহকদেরকে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া অসাধ্য হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারসাম্যাবস্থা প্রতিষ্ঠায় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। ইন্টারনেট পরিবহন ও পরিচালনার কর্তৃত্ব দুইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্দি না রেখে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ভূগর্ভস্থ লাইনে সহজেই ইন্টারনেট সেবা সংযোগ পরিচালনার দিকে নজর দেয়া দরকার। বিশেষ করে ব্যবসায় প্রতিযোগিতার স্বার্থে আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে এনটিটিএন লাইসেন্স না দিলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।