ইন্টারনেট সেবার ওপর থেকে শুল্ক-ভ্যাটসহ সব ধরনের চাপমুক্ত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট সেবার ন্যায় আইটিসি,আইআইজি, এনটিটিএন সেবার বিপরীতে মূল্য সংযোজন কর হ্রাসে আপত্তি জানিয়ে রাজস্ব বোর্ডের পক্ষে থেকে দেয়া চিঠির উত্তরে এ কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ওই আপত্তিটি ‘অবিবেচনা প্রসুত’ মন্তব্য করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, “এবার সকলেরই কনভিন্সড হওয়া উচিত, দেশতো ফিজিক্যালি কলাপস্ড করেছে এবং ডিজিটালি বাইচ্যা রয়েছে।”
তিনি বলেন, “ ডিজিটালি যদি দেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, তাহলে ইন্টারনেটই তো একমাত্র ভরসা। ইন্টারনেট সেবাদাতারাই সারা দেশকে এখন পর্যন্ত সক্রিয় রেখেছে। সচল রেখেছে ইন্টারনেট। এটা না থাকলে দেশ স্থবির হয়ে পড়তো। দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তো। তাই ইন্টারনেটকে সাশ্রয়ী ও সুলভ করে সকলের কাছে পৌঁছে দেয়াই সরকারের লক্ষ্য।”
প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ ইন্টারনেট সেবার ন্যায় আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন সেবার বিপরীতে প্রযোজ্য ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণের অনুরোধ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব-কে আপত্তি জানায় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (মূসক আইন ও বিধি) মোঃ তারেক হাসান।
ওই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিবাংলা-কে বলেন, “ইতিমধ্যেই চিঠির উত্তর দেয়া হয়েছে। চিঠিতে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে তা ভুল। কারণটা হচ্ছে, পূর্ববর্তী স্তরগুলোতেও ১৫ শতাংশ ভ্যাট রাখার পরেও যেহেতু অব্যাহতি দেয়া হয়; ফলে আল্টিমেটলি রাজস্ব আয়টা কমে যায়। সুতরাং আমরা বলেছি, পূর্ববর্তী স্তরেও যদি ৫ শতাংশ ভ্যাট নেয়া হয় তাহলে রাজস্ব আয় বরং বাড়বে। তাই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আবার চিঠি দেয়া হয়েছে।”
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওপর থেকে কর ও ভ্যাট মুক্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমি বরাবরই ফ্রি ইন্টারনেট দেয়ার পক্ষে। সকলের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার পক্ষে। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই বিষয়গুলো প্রকৃতপক্ষে নির্ভর করবে আমাদের সমিতিগুলো কীভাবে তাদের দাবি-দাওয়া এবং অন্যান্য বিষয়গুলো প্লেস করে। এবং করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করার জন্য সরকার কীভাবে এটি বিশ্লেষণ করে। ভ্যাট তো অর্থ-মন্ত্রণালয়ের বিষয়। করও তাদের বিষয়। অফিস খুললেই আমরা বিষয়টি বিবেচনায় করতে পারবো।”