ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাকের ঘটনায় টেক জায়ান্ট অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস’কে দায়ী করেছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
বেজোসের ব্যবহার করা আইফোনটি ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে হ্যাক হয়। বিষয়টি প্রায় দেড় বছর ধরে তদন্ত করে তদন্তকারীরা জানান, ফেসবুক মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বেজোসের ফোনে ৪.৪ মেগাবাইটের একটি ভিডিও ফাইল পাঠানো হয়েছিল। ওই ফাইলটির সঙ্গে ছিল এক ধরনের ম্যালওয়্যার, যেটি ফোনে ছড়িয়ে পড়েছিল।
কিন্তু ফেসবুকের দাবি, সমস্যাটা হোয়াটসঅ্যাপের নয়, এজন্য দায়ী অ্যাপলের আইওএস। কেননা হোয়াটসঅ্যাপের ‘এন্ড-টু-এন্ড’ অর্থাৎ দু’টো ডিভাইসের মধ্যকার তথ্য বিনিময়ের সুরক্ষার জন্য তৈরি এনক্রিপশন ব্যবস্থা হ্যাক করা অসম্ভব।
বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, জেফ বেজোসের ফোন হ্যাক হওয়ার ঘটনায় হোয়াটসঅ্যাপের কোনো দোষ নেই। দোষ ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের।
ক্লেগ বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের শক্তিশালী এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের কারণে মেসেজ একবার এক ডিভাইস থেকে পাঠানোর পর গ্রহীতা ডিভাইসে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত পথের মাঝে সেটিতে কোনো ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার যোগ করার সুযোগ নেই।
তার মতে, ম্যালওয়্যারটি মেসেজ পাঠানোর সময়ই এর সঙ্গে এমনভাবে পাঠানো হয়েছিল যেন হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে পাঠানো থেকে শুরু করে পৌঁছানো পর্যন্ত সেটি নিষ্ক্রিয় থাকে এবং মেসেজটি ওপেন করার পর আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের সংস্পর্শে এসে সেটি সক্রিয় হয়ে ডিভাইসকে আক্রমণ করতে পারে।
অর্থাৎ, ফোনের অপারেটিং সিস্টেমেই কোনো ফাঁক রয়েছে, যাকে কাজে লাগিয়ে বেজোসের ফোন হ্যাক করা হয়েছে।