লাইসেন্স ফি তিন কোটি টাকা ধরে উন্মুক্ত করা হচ্ছে সাবমেরিন কেবল লাইসেন্স নীতিমালা। তৃতীয় সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হওয়ার আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এর বাইরেও যে কোনো বেরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যও এই লাইসেন্স উন্মুক্ত করে দিতে যাচ্ছে সরকার। আগামী সম্পাহেই চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে নীতিমালাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।
সূত্রমতে খসড়া নীতিমালায় লাইসেন্সের সংখ্যা উন্মুক্ত রাখার পাশাপাশি অন্য সব লাইসেন্সের মতো এর মেয়াদও ১৫ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনায় লাইসেন্সে ফির প্রস্তাব করা হয়েছে তিন কোটি টাকা। আর বার্ষিক নবায়ন ফি ধরা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।
নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স পাওয়া কোম্পানিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে ১ শতাংশ হারে রাজস্ব শেয়ার কারার পাশাপাশি দুই কোটি টাকা জামানত রাখার শর্ত দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রথম খসড়ায় লাইসেন্স ফি ১০ কোটি ও বার্ষিক ফি তিন কোটি টাকা এবং শেয়ার ভাগাভগির পরিমাণ ছিলো ৩ শতাংশ এবং জামানত ধরা হয়েছিল পাঁচ কোটি টাকা। এবার লাইসেন্সটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করার পাশাপাশি সকল ফিই কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যন্ডউইথ খরচ হচ্ছে এক হাজার ২০০ জিপিবিএস। এর মধ্যে বিএসসিসিএল দিচ্ছে ৮০০ জিবিপিএস। বাকিটা ভারত থেকে আনছে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি।