সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে লঞ্চঘাটে নিখোঁজের চারদিন পর বাবা-মাকে খুঁজে পেয়েছে দশ বছর বয়সী মাদরাসা ছাত্র ইয়াসিন। মঙ্গলবার (১৮ ফ্রেরুয়ারি) পটুয়াখালী লঞ্চঘাট থেকে ইয়াসিনকে বাড়ি নিয়ে যান তার বাবা। নিখোঁজের চারদিন পর ইয়াসিনকে খুঁজে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন বাবা-মা। ইয়াসিন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা এলাকার সুলতান খাঁর ছেলে।
প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মিলন মোল্লা বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চ। তখন যাত্রীদের সঙ্গে এক মাদরাসাছাত্র উপস্থিত ছিল। মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালী ঘাটে লঞ্চ পৌঁছলে সব যাত্রী নেমে গেলেও নামেনি ওই ছাত্র। পরে তাকে নামতে বললে কান্না শুরু করে। পরিচয় জানতে চাইলে ছেলেটি জানায় ঢাকায় মাদরাসায় পড়ে।
লঞ্চের সুপারভাইজার মিলন মোল্লা বলেন, ছেলেটি তার পরিচয় বলতে না পারায় কান্না থামিয়ে নাস্তা করিয়ে আমার হেফাজতে রাখি। পরে তার ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে পরিচয় জানতে চাই। সেই সঙ্গে ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করি, ‘ছেলেটি আমার হেফাজতে রয়েছে। যদি কারও পরিচিত হয় তবে আমার সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করছি।’ পরে ‘পটুয়াখালীর লঞ্চ’ ফেসবুক গ্রুপে আমার স্ট্যাটাসটি পোস্ট হলে ভাইরাল হয়ে যায়।
ইয়াসিনের বাবা সুলতান খাঁ বলেন, সকালে খবর পেয়ে লঞ্চঘাট যাই। সেখানে গিয়ে চারদিন আগে হারিয়ে যাওয়া ইয়াসিনকে খুঁজে পাই। আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া। লঞ্চের সুপারভাইজার মিলন মোল্লাকে অনেক ধন্যবাদ। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে আমার হারানো সন্তানকে খুঁজে পেলাম।