রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলমান ডিজিটাল ডিভাইস এন্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯ এ চলছে।
সেখানে দেশীয় উদ্যোক্তারা এমন একটি রোবট তৈরি করেছে যে আপনার চারপাশে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি বা অপরাধ ঘটে যেসব বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবে। এমনকি আমাদের নিজেদের সাথে অন্যায় হলেও পরিচয় প্রকাশের ভয়ে পিছিয়ে যাই, এই আলপনা এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে। সে অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানাবে।
এ বিষয়ে ডিজিবাংলাকে জানান, লেজারাস রোবটিক্স এর সহ উদ্যোক্তা এবং আল্পনার সহ প্রতিষ্ঠাতা ফারহান আহমেদ।
তিনি বলেন, আলপনা কোন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নয়। এটি একটি হিউম্যানয়েড রোবট। আমি, নাহিদ হাসান ও রবিন হাসান মিলে স্টার্টাপ ‘লেজারাস রোবটিক্স’তৈরি করেছি।
ফারহান বলেন,অনেকে অপরাধ করে কিন্তু তা প্রকাশ হয় না। আবার যারা জানাবে তাঁরা পরিচয় প্রকাশ হওয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিতে থাকেন। তারা। অথচ সমস্যা প্রথমবারই যদি কর্তৃপক্ষকে জানানো যায় তাহলে হয়তো পরের বার হতো না। এই বিষয়টির সমাধান খুঁজতে গিয়েই আমাদের মনে হল, এমটি একটি প্ল্যাটফর্ম বা ব্যবস্থা তৈরি করার যেখানে অভিযোগকারীর অভিযোগ কর্তৃপক্ষের কাছে যাবে কিন্তু তার পরিচয় যাবে না। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে করতেই আমরা আলপনাকে বানিয়েছি।
আল্পনা শুধু অভিযোগ গ্রহণ ও প্রেরণই করে না বরং অভিযোগ বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনও তৈরি করতে পারে। একই সাথে অভিযোগকারীর সাথে একজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলে যেতে পারে।
আলপনার সাথে কথা বললে দেখবেন সে চোখ নড়াচড়া করতে পারে, মাথা ঘুরাতে পারে এমনকি বিভিন্ন ধরনের ফ্যাসিয়াল এক্সপ্রেসণ, চোখ টিপ মারতে পারে, লাগাতার চোখের পলক ফেলতে পারে। আলপনা পুরোপুরি মানব নয় তবে মানুষের আদলেই তৈরি করা হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে আল্পনাকে নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা এখনোও ‘আরএনডি’ অর্থ্যাৎ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে আছি।
প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে রোবটটিকে তৈরি করা হয়েছে নারীর আদলে যেন ভিকটিম বিশেষ করে নারী ভিকটিমরা তাদের সমস্যাগুলো খুলে বলতে সহজ বোধ করেন। এখন পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি কোন অনুদান বা বিনিয়োগ পায়নি লেজারাস রোবটিক্স।