আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বার প্রান্তে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষার্থীদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে বলে জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (২ অক্টোবর) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি’র মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে জাপানে কর্মসংস্থান উপযোগী করে গড়ে তোলা আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান আমাদের দীর্ঘ পরীক্ষিত ও বিশ্বস্থ বন্ধু। বাংলাদেশের সাথে জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। জাপানিরা শান্তিপ্রিয়, নিয়মানুবর্তিতা পালনকারী হিসেবে বিশ্বের সুপরিচিত।
সনদ পাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারাই হবেন জাপানে বাংলাদেশের ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। পেশাদারিত্ব ও প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে জাপানের আইটি সেক্টরের উপযোগী করে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন আমাদের দেশে প্রতি বছর ২০ লাখ গ্রাজুয়েট বের হয়। জাপানে প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ আইটি প্রফেশনাল চাহিদা রয়েছে। তাই ভালোবাসা, সম্মান, দায়িত্ববোধ এবং সময়ানুবর্তিতা এ চারটি বিষয় নিষ্ঠার সাথে পালনের মাধ্যমে জাপানের শ্রম বাজারে প্রবেশের এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
জাইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিতশি হিরাতা বলেন, বি-জেট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ও জাপান এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক দারুণ উদাহরণ। ভবিষ্যতেও এটি আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্যা এফেয়ার্স ইয়াসুহারু শিনত বলেন, জাপানে কর্মক্ষম লোক কমে যাচ্ছে। তাই আশেপাশের দেশ থেকে শ্রমিক আনা হচ্ছে। বাংলাদেশের বি-জেট থেকে এর আগে পাঁচটি ব্যাচ জাপানে গিয়েছে। সেখানে তাদের কাজের সুনাম ও প্রশংসা শুনছি আমরা।