বাংলাসহ ৪১টি জীবিত ভাষা আছে আমাদের মাতৃভূমিতে। এর মধ্যে ১৪টি ভাষা বিপন্নপ্রায়। সেই অবস্থা থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষাও। এজন্য তৈরি করা হয়েছে ইউনিভার্সাল কিবোর্ড সফটওয়্যার ‘ইউবোর্ড’। এই কি-বোর্ড অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে বাংলার পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের বসবাসকারী সাঁওতাল, মারমা, ম্রো, চাকমারাও কম্পোজ করতে পারবেন নিজেদের ভাষায়।
এবারের অমর একুশে বই মেলায় পরীক্ষামূলক চালু হতে যাচ্ছে এই কি-বোর্ডটি।
এর পাশাপাশি বাংলা শুদ্ধ বানান যাচাই, পিডিএফ কিংবা ৪জিবি’র অধিক রেজ্যুলেশনের ছবিতে থাকা বাংলা লেখাও টাইপ করে দিতে সক্ষম ‘বাংলা ওসিআর’ কাজ করছে বেশ ভালো ভবেই।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এখন ফল দিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে বাংলায় লেখা পড়ে এর অর্থ বুঝে ইমোজি প্রকাশ করতে সক্ষম অ্যাপ- ‘জনমত’ এবং বাংলা ইউনিকোড টেক্সটকে আইপিএতে রূপান্তর করতে সক্ষম অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে পুরনো সব বাংলা এনকোডিং সিস্টমকে ইউনিকোডে রূপান্তরের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন- ‘বাংলা ফন্ট কনভার্টার’।
পরীক্ষামূলক পর্যায়ের কাছাকাছি রয়েছে বাংলা স্পিচ টু টেক্সট, ইশারা ভাষা, স্টাইল গাইড। কাজ চলছে বাংলা চ্যাটবট, সার্চ ইঞ্জিন, বাংলা ন্যাশনাল করপাস নিওয়েও। এমন সব উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামীতে বিশ্বে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে সরকার।
নিজেদের তৈরি এসব অ্যাপ্লিকেশন ভাষার জন্য লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জনকারী দেশ বাংলাদেশকে বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, অ্যাপগুলির মাধ্যমে সরকারের বিদেশী সফটওয়্যার আমদানিতে ডলার সাশ্রয়ের পাশাপাশি ডেটার নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।