ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই স্মার্ট করতে চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে ভোটারের পর এবার প্রার্থীদেরও অনলাইনমুখী করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন পত্র জমার প্রক্রিয়া চালু করতে এরই মধ্যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে কমিশন। এরইমধ্যে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের একটি ডেমো কমিশনে উপস্থাপনও করেছে আইসিটি বিভাগ। উপস্থাপনায় অনলাইনে মনোনয়ন পদ্ধতির পাশাপাশি তা কীভাবে বস্তাবায়ন করা যাবে তাও তুলে ধরা হয়েছে। সূত্রমতে, এরইমধ্যে ডামি একটি প্লাটফর্ম প্রস্তুতির কাজও শুরু হয়ে গেছে। প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত হলে প্রথমে ছোট ছোট নির্বাচন করে এর পরীক্ষা চালাতে চায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ লক্ষ্যেই সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমার এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন নিয়ে আগামী কমিশনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে নতুন করে ‘পাইলট প্রকল্প’ শুরুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অনলাইন মনোনয়ন সাবমিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি না, আগামী কমিশন সভায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। কমিশনে সিদ্ধান্ত হলে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। পাইলট প্রজেক্ট করে এর চ্যালেঞ্জগুলো খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলছেন, “প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ, তারপর উপজেলা, সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যবহার করা হবে। এগুলোতে সফল হলে জাতীয় নির্বাচনেও অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
“আমরা চিন্তা করি, সুন্দর জিনিস সবাই একসেপ্ট করবে”- যোগ করেন বিটিআরসি’র সাবেক মহাপরিচালক আহসান হাবিব।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকারের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমায় বাধা দেওয়ার ঘটনার পর ওই সময় কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন কমিশন অনলাইনে মনোনয়ন জমা নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। পরে জেলা পরিষদের ভোটে এ সুযোগ থাকলেও প্রার্থীদের অনাগ্রহে তাতে সাড়া পায়নি ইসি। বর্তমান কমিশন আচরণবিধি প্রতিপালনের সুবিধার কথাও বিবেচনায় নিয়েছে, তাই অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমার বিষয়ে নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, “এখন স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সবকিছুর আবেদনই অনলাইনে সাবমিশন হচ্ছে। অনলাইনে সাবমিশন দিলে সুবিধা আছে। অভিযোগ আছে, যারা সাবমিশন করতে চায় তাদের অনেকে বাধাগ্রস্ত হয়।”
তিনি বলেন, “এই চিন্তা-ভাবনা কীভাবে বাস্তবায়ন করব, আমায় আইসিটি বিভাগ সেটির একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। মনোনয়ন জমায় যেন অসুবিধা না হয়, সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে।”