ইতিমধ্যেই ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কোভিড-১৯ ও এর ভ্যাকসিন সম্পর্কিত ভুয়া তথ্য এবং উগ্রবাদ প্রতিরোধ নিয়ে দিশেহারা। এর সাথে নতুন করে যুক্ত হলো তালেবান সম্পর্কিত কনটেন্ট।
হটাৎ করেই আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তালেবান সম্পর্কিত তথ্য। মিলিটারি গ্রুপটি মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই রাজধানী কাবুল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং দেশটির সরকার হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে।
অন্যান্য আধুনিক সংস্থাগুলোর মতোই তালেবান তাদের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এবং অনুসারীদের সাথে যোগাযোগের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো জোরালোভাবে ব্যবহার করে। আর তাই তাদের এই প্রচার ও যোগাযোগকে প্রতিরোধ করতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্ল্যাটফর্মকে আরও নিরাপদ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
এক বিবৃতিতে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী তালেবান একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা আমাদের সেবা থেকে ক্ষতিকর সংস্থা বিষয়ক পলিসির মাধ্যমে তাদেরকে নিষিদ্ধ করেছি। অর্থাৎ তালেবান, তাদের সমর্থক ও প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাকাউন্টগুলো আমরা সরিয়ে ফেলেছি। দারি ও পাস্তো ভাষাভাষী স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় পরিস্থিতিকে খুবই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, তালেবান হোয়াটসঅ্যাপের এন্ড-টু-এন্ড সিকিউর কনভারসেশনের মাধ্যমে বার্তা প্রচার করে থাকে। ফলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কনটেন্ট পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না। নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা গেলেও কারা কী আলোচনা করছে সেটি হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।
ফেসবুকের মতো টুইটার এবং ইউটিউব তালেবান নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এই দুটি মাধ্যমের এখন জোরালো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
ডিবিটেক/বিএমটি