ভৌগলিক বৈষম্য রোধ করে প্রান্তিক পর্যায়ে সাশ্রয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে রবিবার থেকে চালু হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘এক দেশ এক রেট’ ট্যারিফ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রধান সভা কক্ষে বিকেল তিনটায় এই ট্যারিফের উদ্বোধন করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ডিজিবাংলা’র সঙ্গে আলাপকালে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই তিনটি স্লাবে দেশজুড়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের এক দর হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তবে এক্ষেত্রে বড় কয়েকটি আইএসপি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিদের প্রস্তুতি নেই বলে জানা গেছে। ইন্টারনেটন সেবাদাতারা বলছেন, এনটিটিএন পর্যায়ে ট্রান্সমিশন ফি (ফ্লাট ও ফ্লোর প্রাইস) ৫০ শতাংশ না কমানো হলে দেশজুড়ে এক রেট বাস্তবায়ন দূরুহ বিষয়। সরকার ট্রান্সমিশন পর্যায়ে এক দেশ, এক রেট দিলেই কেবল এটা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক। কিন্তু এখনো এর দাম সম্পর্কেও তারা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
অবশ্য গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষা করতে দীর্ঘ দিন ধরেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের এক দেশ এক রেট স্লোগান বাস্তবায়নে কাজ করে আসছে বিটিআরসি। গত ২ জুন মন্ত্রীসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৈঠক শেষের পরের কার্য দিবসেই বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এক দেশ এক রেট অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন। ওই অনুষ্ঠানেই এক দেশ এক রেট ঘোষণা করা হবে।
এদিকে ডিজিবাংলার অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুরুতে তিনটি কোম্পানি এই অনুশীলন শুরু করতে পারে। তবে তা সীমাবদ্ধ থাকবে বিভাগীয় পর্যায়ে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে এক রেট কার্যকর হলে ইন্টারনেটে প্রতি এমবিপিএস-এ সর্বোচ্চ ২০০ টাকা বাঁচবে প্রান্তিক গ্রাহকের। একরেট ট্যারিফে সর্বনিম্ন গতি হবে ৫ এমবিপিএস। প্রান্তিক পর্যায়ে এর মূল্য ৫০০-৬০০ টাকা। আর সর্বোচ্চ ২০ এমবিপিএস গতির সর্বোচ্চ মূল্য বেধে দেয়া হতে পারে এক হাজার ২০০ টাকা।