মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এখন বেশিরভাগ অনুষ্ঠানই হচ্ছে ভার্চুয়ালি। এক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুম অ্যাপের ব্যবহার হচ্ছে বেশি। তবে সেখান থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসে নিজস্ব প্লাটফর্মের দিকে ঝুঁকছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
ফলে আন্তঃমন্ত্রণালয় কার্যক্রমে ক্রমেই বাড়ছে আইসিটি বিভাগের ‘বৈঠক’ অ্যাপের ব্যবহার। নতুন করে সাত দিনের লকডাউনের শুরুতেই জুম অ্যাপের আদলে তৈরি এই ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপের ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে পাররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সঙ্গে ‘বৈঠক’ অ্যাপে ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ উভয় মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে কার্যক্রম ডিজিটালাইজকরণে আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন সল্যুশন ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তথ্যসুরক্ষা ও জতীয় স্বার্থে নিজস্ব অনলাইন ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম বৈঠক, তথ্য আদান-প্রদান অ্যাপ আলাপন ও জিআরপি সিস্টেম ব্যবহারেও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ওই বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গোপনীয়তা রক্ষা করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও ফাইল আদান-প্রদানে দেশীয় ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ‘আলাপন’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ফেজ-২–এর (ইনফো-সরকার) উদ্যোগ আলাপন অ্যাপ বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশি বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমস।
ওই সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আলাপনে কম ব্যান্ডউইটথ, কম চার্জ ও কম স্পেসের প্রয়োজন হবে। আলাপন অ্যাপ ব্যবহারে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া অন্য কোনো খরচ না হওয়ায় সরকারের অর্থও সাশ্রয় হবে এতে।