তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি দাপ্তরের সব কাজ ও সেবা সহজ ও গতিশীল করতে আইন করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ‘ডিজিটাল গভর্ন্যান্স আইন- ২০২০’ এর একটি খসড়াও প্রণয়ন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মতামত গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাতে পাঁচ অধ্যায় বিশিষ্ট খসড়া আইনটি প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইসিটি সেল। আইনটিতে রয়েছে ৩৯টি অনুচ্ছেদ।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, গেজেট প্রকাশের দিন থেকেই আইনটি কার্যকর হবে। এই আইন কার্যকর হলে যে কোনো পরিস্থিতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে কোনো কাজ করলে তার আইনি বৈধতা থাকবে। চিঠি বা দলিলে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর দেওয়া যাবে।
এছাড়াও সরকারি দপ্তরে আদায়যোগ্য অর্থ আদায় করা যাবে ডিজিটাল মাধ্যমে। একই পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা, পেনশন, অনুদান, ক্ষতিপূরণ এবং বৃত্তি অর্থও দেওয়া যাবে।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো পত্র বা দলিলে ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর দিয়ে সম্পাদন করা যাবে। কোনো আইনে দলিল, সাময়িক দলিল, সত্যায়িত অনুলিপিসহ অন্য কোনো কাগজপত্র উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা থাকলে তা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রেরণ, প্রদর্শন বা গ্রহণ করা যাবে।
এই আইন কার্যকর হলে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে চুক্তি করা যাবে জানিয়ে খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে চুক্তির প্রস্তাব, প্রস্তাব গ্রহণ, প্রস্তাব বাতিল এবং তাতে সম্মতি প্রদান অথবা চুক্তি সম্পাদন সম্পর্কিত যে কোনো যোগাযোগ স্বীকৃত ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পাদিত হবে। আর যদি চুক্তি সম্পাদনের স্থান সম্পর্কে অস্পষ্টতা দেখা দেয় তবে চুক্তি সম্পাদনের স্থান বলতে সাধারণভাবে সম্পাদনকারীদের প্রধান কার্যালয় বা সচরাচর বসবাসের স্থান বোঝাবে। সম্পাদিত কোনো চুক্তি কেবল এ কারণে অগ্রাহ্য, অযথার্থ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অযোগ্য বলে প্রতিপন্ন করা যাবে না যে চুক্তিটি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে সম্পাদন করা হয়েছিল।
অন্যদিকে সরকারি দপ্তরগুলোতে আদায়যোগ্য অর্থ ডিজিটাল পদ্ধতিতে আদায়ের ক্ষেত্রে “জৈবিক বা শারীরিক বা অন্য কোনো তথ্য যা একক বা যৌথভাবে একজন ব্যক্তিকে বা সিস্টেমকে শনাক্ত করে তা সরকার কর্তৃক নির্দেশিক পদ্ধতিতে ব্যক্তির বা সিস্টেমের পরিচয় নিশ্চিতে ব্যবহার করা যাবে।”
আইনের কোনো বিধানের সঙ্গে অন্য কোনো আইনের কোনো বিধান অসাম্যঞ্জস্য হলে ওই আইনের বিধানের সঙ্গে এই আইনের বিধান যতখানি অসামঞ্জস্য হবে সেসব ক্ষেত্রে এই আইনের বিধান কার্যকর থাকবে বলেও খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।