ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে জারি করা অধ্যদেশটি আইন হিসেবে জারি করতে সংসদে বিল তোলা হয়েছে। এখন বিলটিতে দেশের বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে সংসদীয় কমিটি।
বুধবার (২৪ জুন) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১০ম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব নরেন দাস, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিলটিতে মতামত নিতে অ্যাটর্নি জেনারেল, বিশিষ্ট আইনজীবী বাসেত মজুমদার, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে আগামী ২৮ জুন পরবর্তী বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর পরদিন সংসদে বিলটি পাশ হতে পারে বলে জানাগেছে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পক্ষে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মঙ্গলবার ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার বিল- ২০২০’ সংসদে তোলেন।
পরে বিলটি ৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ রেখে গত ৭ মে মন্ত্রিসভা এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়ার পর তার ভিত্তিতে ভার্চুয়াল আদালতের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যাদেশ জারির তা সংসদে তোলা হয় গত ১০ জুন। অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করতে হলে চলমান অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে তা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করে অনুমোদন করাতে হবে। না হলে ৩০ দিন অতিবাহিত হলে অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা হারাবে।
সংসদে উত্থাপিত বিলে ভার্চুয়াল উপস্থিতির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, “অডিও-ভিডিও বা অনুরূপ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির আদালতে বিচার বিভাগীয় কার্যধারায় উপস্থিত থাকা ও অংশগ্রহণ।”