ফোরজির সম্প্রসারণ ও ৫জি উন্নয়নের মাধ্যমে টেলিটকের ৫০ শতাংশ সাইট উন্নয়ন করা হবে। এজন্য প্রাক্বলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে বলে একনেক সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিবাংলা-কে বলেন,
টেলিটককে সরকারি মোবাইল অপারেটর হিসেবে পূর্ণতা দিতে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হবে। এই নেটওয়ার্কে ৫জি-তে রূপান্তরের সুযোগ থাকছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ৮৩ শতাংশ ক্যাপাবেলিটি অর্জনের পাশাপাশি ৯২ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবো। টেলিটক সাবলম্বী হবে।
জানাগেছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর টেলিটকের মোট সাইট সংখ্যা হবে আট হাজার ৯৭৭টি। ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্ক ইউনিয়ন পর্যন্ত সম্প্রসারণের পাশাপাশি টেলিটকের বিদ্যমান সুইচিং কোর নেটওয়ার্ক ক্যাপাসিটি ৮০ লাখের সাথে আরও ১০০ লাখ অন্তর্ভুক্ত করা করবে।
টেলিটক সূত্রে জানাগেছে, প্রস্তাবিত ৩ হাজারটি বিটিএস টাওয়ারের মধ্যে দেড় হাজার টাওয়ার গ্রাম বা ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপিত হবে। এ সব স্থানে টাওয়ার কোম্পানিগুলোর কোনো টাওয়ার না থাকায় টেলিটক ১ হাজার ৫০০টি টাওয়ার স্থাপন করা করবে। পরে বিটিআরসির গাইড লাইন অনুযায়ী টাওয়ারগুলো কোম্পানিদের মধ্যে ভাড়ায় বা বিক্রিতে হস্তান্তর করা হবে।
জানাগেছে, প্রকল্পের আওতায় ১৫০০টি নতুন সাইটে বিটিএস টাওয়ার নির্মাণ ও শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে অন্য ১৫০০টি টাওয়ারের যন্ত্রপাতি স্থাপন, নেটওয়ার্কের বিদ্যমান ৫০০টি বিটিএস টাওয়ারের যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন, নেটওয়ার্কের বিদ্যমান ৩১০০টি সাইটের বিটিএস টাওয়ারের ৩জি ও ৪জি ক্যাপাসিটি সম্প্রসারণ, নেটওয়ার্কের ২ হাজার ৩১০টি বিদ্যমান সাইটে ৪জি যন্ত্রপাতি স্থাপন, ৫জি প্রযুক্তি চালুকরণের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম হিসেবে ট্রান্সমিশন কোর নেটওয়ার্ক ১০জিবিপিএস থেকে ১০০জিবিপিএস উন্নীতকরণ এবং ৫০ হাজার সরকারি দফতর, হাসপাতাল ও শিা প্রতিষ্ঠানে সিপিই এবং বিভাগীয় শহরের ৫০০টি বহুতল ভবনে টেলিটকের ইন-বিল্ডিং কাভারেজ শক্তিশালীকরণ করা হবে।