জন্ম থেকেই মানসিক বিকাশে পিছিয়ে থাকা শিশুদের খেলতে খেলতে পাঠদানের দারুণ একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন ৫ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে মোবাইল ভিত্তিক এই ডিজিটাল মডিউলটি তৈরি করেছেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক উত্তীর্ণ এই শিক্ষার্থীরা।
এরা হলেন-শায়লা তাজমিম অনুভা, সিফাত বিন জামান, ফোরকানুল ইসলাম, উজমা হাসান ও ফারহান ইসলাম ইমু। তাদেরকে এই উদ্ভাবনের পেছনে বাতিঘর হিসেবে কাজ করেছেন এমআইএসটি’র শিক্ষক লেঃ কর্নেল ড. মোহাম্মাদ নজরুল ইসলাম ও লেঃ কমান্ডার আনিসুর রহমান।
উদ্ভাবক দলের প্রধান শায়লা তাজমিম অনুভা ডিজিবাংলা-কে বলেন, প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাক্রমের দেশজ ডিজিটাল সল্যুশন উদ্ভাবন করতেই তারা গত বছর ল্যাবে এই মডিউলটি উদ্ধাবন করেছেন। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশনের সমন্বিত এই মডিউলটি দেশে এখন পর্যন্ত কেউ তৈরি করেনি। তারা মূলতঃ আর এফ আইডি, পিজো প্রেসার সেন্সর ব্যবহার করে ফিজাক্যাল ডিভাইসের সঙ্গে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশসনের মধ্যে সমন্বয় করেছেন। এই প্রোটোটাইপটি তৈরিতে তাদের ব্যয় হয়েছে ১২-১৫ হাজার টাকা।
প্রতিবন্ধী শিশুদের মানসিক বিকাশ ও শিক্ষণ প্রক্রিয়ার উন্নয়নের একটি আইওটি ভিত্তিক এটি গেমিং অ্যাপ্লিকেশনটিতে রয়েছে ৩টি গেম। ১. কার্ড ম্যাচিং গেম, ২. পজাল গেম এবং ৩. নেভিগেশন ডিরেকশন গেম।
নেভিগেশন ডিরেকশনের জন্য ব্যবহৃত হয় জয়স্টিক। আর কার্ডের সেটের মাধ্যমে খেলতে হয় ম্যাচিং গেম। শিশুটি এই তিনিটি খেলার যেটিই খেলুক না কেনো সে এর মাধ্যমে কতটা শিখলো, কোন পর্যায়ে পৌঁছলো তার সবটাই দৃশ্যমান হয় মোবাইলে। সেখানে রেকর্ডও থাকে, যোগ করেন অনুভা।
তিনি বলেন, এই ধরনের শিশুরা যেহেতু ধীরে শেখে সে জন্য আমরা শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় স্মৃতি- অনুধাবন-অনুসরণ পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিয়েছি।
আন্তর্জাতিক সম্মেলন সিটি বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিতব্য বেসিস সফট এক্সপো-তে এই এড্যু গেমিং কনসোলটির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
জানাগেছে, ১২তম এশিয়ান কনফারেন্স অন ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ডেটাবেজ সিস্টেমস সম্মেলনে ডাক পেয়েছে উদ্যোগটি। থাইল্যান্ডের ফুকেটে আগামী ২৩-২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন।