পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষদের সহযোগিতায় আঙুলের ইশারায় চলতে সক্ষম একটি বিশেষায়িত হুইল চেয়ার তৈরি করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির একদল উদ্ভাবক। বিশ্ববিদ্যালয়ে “ইনোভেশন ল্যাব” -এ এই আইওটি নির্ভর স্বয়ংক্রিয় হুইল চেয়ারটি তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক এবং ইনোভেশন ল্যাবের প্রধান প্রকৌশলী কাজী তাইফ সাদাত জানিয়েছেন এই হুইল চেয়ারটি ১০০ কেজি ভার বহন করতে সক্ষম। এছাড়াও এটি রক্তচাপ , প্রতি মিনিটের হার্টরেট , শরীরের তাপমাত্রা রিয়েল টাইমে মাপতে পারে।
এছাড়াও রোগীর অবস্থা কোনোরকম সংকটে পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাসপাতাল এবং জরুরি নম্বরে কল করতে পারে এবং আল্ট্রাসনিক সেন্সরের মাধ্যমে যে কোনো ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রোগীকে রক্ষা করতে পারে।
পাশাপাশি জিপিএস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রোগীর অবস্থান জানাতে পারে রিচারর্জেবল ব্যাটারি চালিত এই হুইল চেয়ার।
প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এই হুইলচেয়ারটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা হবে বলেও জানান তাইফ সাদাত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ট্রিপল ই বিভাগের প্রধান খালিদ রহমান ডিজিবাংল.টেক-কে বলেন, মূলতঃ আমাদের বিভাগের শিক্ষকরাই এই আইওটি ভিত্তিক হুইল চেয়ারের মৌলিক কাজটি করেছি। এক্ষেত্রে ডিভাইসের সোল্ডারিং এর মতো কাজে ৪র্থ বছরের শিক্ষার্থীদের সহায়তা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীরা যেন তাদের আঙুল/হাতের ইশারার মাধ্যমেই হুইল চেয়ারটি পরিচালনা করতে পারেন সে জন্য আমরা এর সঙ্গে একটি আইওটি নির্ভর একটি গ্লাভস জুড়ে দিয়েছি। এটি তার ইশারাতেই চলবে। এছাড়াও আগামীতে এর সঙ্গে একটি জয়স্টিকও সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
আলাপকালে জানাগেছে, বিশ্বে প্রচলিত হুইল চেয়ারের চেয়ে এটির খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। মূলতঃ নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যেন সহজেই এটি কিনতে পারেন সেই দিকটার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।