২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।তবে এই চার বছরে লিগ্যাল ডিমান্ড হিসেবে টুইটারের কাছে কোনো অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চায়নি বাংলাদেশ সরকার। কোনো টুইট মুছে ফেলারও অনুরোধ করেনি।
টুইটারের সর্বশেষ প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে কোন দেশ কতটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে অনুরোধ করেছে এবং টুইটার কত শতাংশ অনুরোধ রেখেছে তার হিসাব দিয়েছে। সেই প্রতিবেদন থেকেই এই তথ্য জানাগেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন মাসের মধ্যে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের কাছে ২টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলো বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু বরাবরের মতো সাড়া দেয়নি এই সোশ্যাল মিডিয়া।
সেখানে দেখা যায়, ২০১৫ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে টুইটারের কাছে ১০টি অনুরোধ করেছিলো বাংলাদেশ সরকার। আবেদনে ২৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিলে। এরপর ২০১৬ সালের জুলাই-ডিসম্বর মাসে ৪টি এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি-জুন মাসে ১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে অনুরোধ পাঠিয়েছিলো বাংলাদেশ সরকার। তবে ১৭টি অনুরোধই রক্ষা করেনি টুইটার কর্তৃপক্ষ। আর এই সবগুলো অনুরোধই ছিলো এমার্জেন্সি ডিসক্লোজার রিকুয়েস্ট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে টুইটারের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৭ হাজার ৩০০ অনুরোধ গেছে। যার মধ্যে নির্দিষ্ট হিসেবে ১২ হাজার ৫১৯ অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চেয়েছে টুইটারের কাছে। এর মধ্যে ৪৮ শতাংশ অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবরাহ করেছে টুইটার।
এছাড়াও টুইটার কর্তৃপক্ষ লিগ্যাল ডিমান্ড হিসেবে ১৭ হাজার ৫১০টি অনুরোধ পায়। সেসব অনুরোধে মোট ৫০ হাজার ৭৫৭টি অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ পায় টুইটার। তারপর সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে টুইটার ৩৫৪টি অ্যাকাউন্ট এবং ২ হাজার ১০৩টি টুইট সরিয়ে নেয়।