ডিজিটাল যুগে সঙ্গে নগদ টাকা রাখেন না অধিকাংশ মানুষ। মেশিনে কার্ড ঘষলে কিংবা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায় টাকা। গোটা পৃথিবীতেই জনপ্রিয় ডিজিটাল লেনদেন।
কিন্তু কখনও যদি কেউ কার্ড বা ফোন নিতে ভুলে যান, তখন উপায়? আবার কার্ড বা ফোন চুরি হয়ে গেলেও নানা রকম সমস্যা মুখে পড়তে হয়।
এই সব বিপত্তি থেকে মুক্তি পেতে তাইওয়ানের এক যুবক বেছে নিয়েছেন এক অভিনব পন্থা। বার বার পকেট থেকে ফোন বা কার্ড বের করার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে তিনি নিজের হাতেই বসিয়ে নিয়েছেন ‘বারকোড’।
নেটমাধ্যমে ওই যুবকের হাতে আঁকা ‘বারকোড’ ট্যাটু এবং সেই কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করার ছবি এবং ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল।
দেহের বিভিন্ন অংশে ট্যাটু করার চল রয়েছে নানা দেশে। সকলেই চান যেন তাদের হাতে আঁকা ট্যাটু অন্যদের থেকে আলাদা হয় বা ‘বিশেষ’ কিছু অর্থ বহন করে। তেমন ইচ্ছে ছিল ওই যুবকেরও।
‘ট্যাটু’শিল্পীর কাছে গিয়ে হঠাৎ করেই ওই যুবকের মাথায় আসে একেবারে অন্য রকম এই ভাবনা। যদিও হুবহু সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বারকোডের ছাপ হাতে আঁকা নিঃসন্দেহে কঠিন একটি কাজ। একসঙ্গে দেখলে অনেকটা সরু সরু সুতোর মতো। কিন্তু তার মাপ এক চুল এ দিক থেকে ও দিক হলেই অকেজো। স্ক্যান করে কোনও লাভই হবে না। কিন্তু আদতে তা হয়নি। ট্যাটুশিল্পী একেবারে নিখুঁত ভাবে ওই যুবকের হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন তার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত কার্ডের বারকোড।
গোটা পৃথিবীতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় ট্যাটু। মেসি কিংবা রোনাল্ডোর মতো রোল মডেলদের গোটা শরীরে ট্যাটু। যা দেখে অনুপ্রাণিত হয় কম বয়সিরা। তাইওয়ানের এই যুবকও এক ঢিলে মারলেন দুই পাখি। কিন্তু দীর্ঘ দিন থাকতে থাকতে এই ‘ট্যাটু’ ফিকে হয়ে যাবে। তাই তার এই বিস্ময়কর কাজ দেখে, অন্যরা অনুপ্রাণিত হলেও তিনি খুব একটা উৎসাহ দিচ্ছেন না। যে উদ্দেশ্যে তিনি এই ট্যাটু করিয়েছিলেন, যদি কোনও সময় তা আর কাজ না করে, তখন কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তিনি।