নট স্ট্রং এনাফ। নাম নিয়ে নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে এবার আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দলটি। প্রোগ্রামিংয়ের ১০টি প্রবলেমের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক সমাধান দিয়ে সেরার মুকুট জয় করেছে ডিইউ-নট স্ট্রং এনাফ। সমস্যার সমাধান খুঁজে দেয়ার এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্স আপ হয়েছেন বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দল- বুয়েট পট্যাটোস (BUET Potatoes) এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ জাহঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দল কেজডভিডি ৭২৯ (JU_kzvd4729 )।
এছাড়াও প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ এর অন্যান্য বিজয়ী দলগুলো হলো- বুয়েটের নার্ড হার্ড (Nerd herd), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যালয়ের দল শাস্ট-কার্নেজ (Carnage) ও বারলেক্যাম্পমেসি (BerlekampMassey), বুয়েটের নেগেটিভ আইকিউস (Negetive IQs), বার্সেকার্স (Berserkers) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল স্ট্যাকস ডোন্টফ্লো (Stacks DontFlow) ও ফেনরিস (Fenrys)।
শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার এশিয়া ঢাকা আঞ্চলিক পর্বের সমাপনী অধিবেশনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় প্রযুক্তিপ্রাণ অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ কায়কোবাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিইউবিটি উপচার্য ড. মুহাম্মাদ ফাইয়াজ খান।
প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় বিইউবিটি’কে ‘প্রবলেম সলভার’ বলে সম্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
তবে শুরুতেই রক শিল্পী হওয়ার স্বপ্নটা মঞ্চেই গলা ছেড়ে জানিয়ে দেন পলক।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা অঞ্চলের চেয়ার ড. মোহাম্মাদ আলী নূর।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবুল এল হক, আইসিপিসি ফাইনাল রাউন্ডের বিচারক শাহরিয়ার মঞ্জুর, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জাফর আলম, থেরাপ বিডি’র মানব সম্পদ পরিচালক মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মাদ শামীম চৌধুরী, বিইউবিটি ট্রাস্টি শামসুল হুদা, আবু সালেহ, এ এফএম সারওয়ার কামাল পুরস্করা বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ১১৭টি কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭৪৫টি দলের প্রিলিমিনারি প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। অনলাইন প্রিলিমিনারি প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ১০৪টি কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৫টি দলকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশের ১০৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬৫ জন প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ৪৯৫ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ১৬৫টি দল এই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পুরস্কার বিতরণ শেষে শিরোনামহীন ব্যান্ডের পরিবেশনা উপভোগ করতে বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ার নামে বিইউবিটি ক্যাম্পাসে। এমন উৎসবের মধ্যেই আগামী নভেম্বরে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অলিম্পিক খ্যাত এসিএম আইসিপিসি’র স্বাগতিক দেশ হিসেবে নিজেদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।