কক্সবাজারে অবস্থিত সি মি উই-৪ ল্যান্ডিং পিট নিয়ে ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পিটটির অবস্থান ও কিছু ছবি নিয়ে টুইট করেন আমেরিকার হারিকেন ইলেকট্রিক-এ কর্মরত অনুরাগ ভাটিয়া। এই টুইটে মন্তব্য করে ওলন্দাজ কনসালটেন্ট রাডলফ ভ্যান ডার বার্গ লিখেন, বাংলাদেশে সাবমেরিন ফাইবার কেবলের ল্যান্ডিং অবস্থানের কী চমত্কার ছবি,এটি পুরোপুরি আনগ্লোরিয়াস লোকেশন। যদিও এটি দেশের টেলিকমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে দেশের সেরা স্থপতিদের দিয়ে তৈরি এমন অভিনব নকশা কেউ প্রত্যাশা করবেন না।
ভাইরাল হওয়া এই টুইটগুলো শেয়ার করে ফেসবুক পোস্টে বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্ট আবু সাঈদ খান লিখেন, “নেড়ি কুকুর, পচা পানি এবং আবর্জনা কক্সেসবাজারে বাংলাদেশের প্রথম সাবম্যারিন কেইবল SEA-ME-WE 4-এর ল্যান্ডিং পিটের প্রতিবেশী। চুনোপুঁটি মাস্তানদের জন্য এই স্থাপনা উড়িয়ে দেওয়া বাঁ হাতের কাজ। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভয় হয়। ওনাদের আইনে “দৃষ্টি আকর্ষণ” কথাটি চোখ তুলে ফেলার হুমকি কিনা জানা নেই। আমেরিকার Hurricane Electric-এ কর্মরত অনুরাগ ভাটিয়া তাঁর টুইটার একাউণ্টে এই ছবিগুলো পোস্ট করেছেন। ওলন্দাজ কনসালটেন্ট Rudolf van der Berg তাই নিয়ে আবার ফোঁড়নও কেটেছেন!”।
বিষয়টি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি ডিজিবাংলা-কে বলেন, আমাদের টুইটারে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই তাই ভাইরাল হলেও বিষয়টি নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমি আজই এই খবরটি পেয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলতে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলকে অবগত করা হয়েছে। আর এটি ২০০৫ সালে বিটিটিবি’র সময় স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাত্তার স্বার্থে আমরা এখানে দ্বিস্তরের লোহার বেড়া তৈরি করে রেখেছি। ফলে এটি মোটেই অনিরাপদ নয়।