‘এই রায় হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে এবং ভারতের হিন্দুরা চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে এই রায় মনে রাখবেন।’ টু্ইটারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘স্বাক্ষরিত’ এমনই একটি ‘জাল’ চিঠি বিষয়ে সকলের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ও ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুতাবাসের পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই চিঠি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা।’ ‘জনপরিসরে ভারত সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রচার করার এই অপচেষ্টা অত্যন্ত গর্হিত ও অনুচিত’ বলেও ওই বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার তার অফিশিয়াল টুইট থেকে লিখেছেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও মৈত্রীকে ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যেই এটি একটি অপচেষ্টা।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর, অর্থাৎ বাবরি মসজিদ-রামমন্দির বিতর্কে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার তিন দিন পরেই এই টুইটটি করা হয়। জানা গেছে, কথিত যে চিঠিটি নিয়ে ভারত এই আপত্তি জানিয়েছে সেটি আসলে টুইট করা হয়েছিল মার্কিন-প্রবাসী জনৈক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে। ওই ব্যক্তি সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদির লেখা কথিত চিঠিটির একটি প্রতিলিপিও পোস্ট করেন। যাতে দেখা যাচ্ছে, নিজের সরকারি লেটারহেডে লেখা ওই চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং তার আরও চার সহকর্মীকে অযোধ্যা বিতর্কে এক অবিস্মরণীয় রায় দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান।