তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন ফরচুন ম্যাগাজিনের তথ্যমতে পৃথিবীর ৫০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাত্র ২৪ টিতে সফল নারী নেতৃত্ব রয়েছে। আমাদের দেশেও এমন সফল নারী নেতৃবৃন্দ রয়েছে। তবে আমাদের আরও এমন নারী উদ্যোক্তা দরকার বিশেষ করে আইসিটি খাতে।
প্রতিমন্ত্রী শনিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সিটি ব্যাংক কালারস প্ল্যাটিনাম বিজনেস ওমেন আওয়ার্ড – ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমন কথা বলনে।
পুরস্কার বা সম্মাননার আয়োজন ভবিষ্যত নারী উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করবে। তিনি বলেন নারীদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত উন্নয়ন টেকসই করা সম্ভব নয় ।
নারী নেতৃত্বের প্রশংসা করে পলক বলেন, নারীরা এখন সকল সেক্টরে সফলভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন নারী। তিনি শুধু আমাদের দেশের নয় বরং বিশ্বের সেরা একজন নেতা। রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক সকল ক্ষেত্রে নারীরা ভাল করছেন। এধরনের পুরস্কারের আয়োজন ভবিষ্যত নারী উদ্যোক্তাদের আরও বেশী অনুপ্রাণিত করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে সরকার চলতি বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। এর ফলে উদ্যোক্তারা আর্থিক সহযোগিতা পাবেন। এছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ উদ্যোক্তাদের জন্য আইডিয়া প্রকল্পসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কালারস ম্যাগাজিনের প্রকাশক ও সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ, সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ।
উল্লেখ্য, সাতটি ক্যাটাগরিতে নারী উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিতে দেশে প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ নেয় কালারস। সাতটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়া নারীরা হলেন – প্ল্যাটিনাম বিজনেস ওমেন অফ দ্যা ইয়ার ক্যাটাগরিতে রুমানা চৌধুরী, বিজনেস এন্টারপ্রাইজ ক্যাটাগরিতে সুজান খান মঈন, এসএমই এন্টারপ্রাইজ ক্যাটেগরিতে তানিয়া ওয়াহাব, ইনোভেটিভ প্রজেক্ট অব দ্যা ইয়ার ক্যাটাগরিতে আমিনা খাতুন, স্টার্টআপ অফ দ্যা ইয়ার ক্যাটাগরিতে তৃণা ফাল্গুনী, ইনোভেটিভ সল্যুশন অফ দ্যা ইয়ার ক্যাটাগরিতে ফাহমিদা ইসলাম এবং রাইজিং স্টার ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে নাবিলা নওরীন ও নাহিদ শারমিন।