উদ্ভাবনী শক্তি ও সক্ষমতা দিয়ে জনসেবা দিয়ে আইসিটি বিভাগের ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ অনন্য উদ্যোগ হিসেবে জনপ্রশাসন পদক প্রাপ্তিতে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। হ্যাকারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা এবং বিদেশী নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে ঘরের সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের মাধ্যমেই কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম “সুরক্ষা” প্লাটফর্মের সফলতায় নেতৃত্বদানে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং আইসিটি অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার মোঃ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের।
২৫ জুলাই আইসিটি টাওয়ারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভা কক্ষে গত ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গ্রহণ করা ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২’ মন্ত্রণালয় প্রধানের হাতে তুলে দেয়ার সময় এই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পদক প্রাপ্তি নিয়ে অবহিত করণ সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতা সুরক্ষার মাধ্যমে সহজেই দেশের মানুষ অনুধাবন করতে পেরেছে। একইসঙ্গে এটা আমাদের শত কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় করেছে। এছাড়া দেশ বিশ্বের কাছে একটি আত্মনির্ভশীল, টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্বে আমাদের সক্ষমতা প্রকাশ করেছেন। কেননা অনেক কুটনীতিক, বিদেশী বিশেষজ্ঞ এই প্লাটফর্মের প্রশংসা করেছেন। এটাকে আমেরিকার রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের চেয়েও বেশি ভাইব্রেন্ট বলা হয়েছে। ফলে এই প্লাটফর্ম আমাদের গর্বের, সক্ষমতার। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের অনুপ্রেরণা উৎসাহের নাম সুরক্ষা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, ই-নথি থেকে সুরক্ষা প্রতিটি উদ্ভাবনেই মাননী আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারাবাহিক অনুপ্রেরণাদায়ী নির্দেশনার ফসল। আগে আমাদের মাইনসেট ছিলো আমরা হয় তো পারবোন। জাপান, ইউরোপ থেকে সল্যুশন নিয়ে আমাদেরকে কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করবো। কিন্তু এখন শুন্য থেকে নিজেদের স্বয়ংসম্পুর্ণ হওয়ার সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। জয় ভাইয়ের সুদক্ষ নেতৃত্বে গত ১৩ বছরে আমরা ইউনিয়ন ইনফরমেশন সেন্টার থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ন্যাশনাল পোর্টাল, নিজস্ব ই-মেইল সিস্টেম, ইন্ট্রা নেটওয়ার্ক সিস্টেম, ভিডিও কনফারেন্সিং, ডেটা সেন্টার প্রতিটি অবকঠামো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এটাই প্রোগ্রামার-তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করেছে। ফলে এতো কম সময়ে করোনাকালের ৫টি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিনা পয়সায় এতো বড় একটি বিশ্বমানের প্লাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।