বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টে আজ (বুধবার) থেকে চালু হলো ডিজিটাল আর্কাইভ ও ই-ফাইলিং সুবিধা। ই-জুডিশিয়ারি শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় দেড় হাজারের বেশি এজলাসকে ডিজিটাল এজলাসে রূপান্তরিত করা হবে। এর ফলে এতে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে এবং জনগণ দ্রম্নত বিচার পাবে।
ডিজিটাল আর্কাইভ ও ই-ফাইলিং ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
একজন প্রধান বিচারপতির জন্য দু:খজনক হলো কোর্ট বন্ধ রাখা। করোনার সময়ও অনলাইন ব্যবস্থা থাকায় আমরা কোর্ট সচল রাখতে পেরেছি জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমাদের মুক্তি হলো অনলাইন কোর্ট, কারণ আমাদের বিচারিক সংখ্যা ২ থেকে ৩ গুণ বাড়ানো দরকার। বাড়ানোর জন্য জেলা শহরে বিল্ডিং দরকার। কবে তা তৈরি হবে জানা নেই। তাই আমাদের অনলাইন কোর্টকে গুরত্ব দিতে হবে যার ফলে সবাই ঘরে বসেই কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিচার বিভাগের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ পরিকল্পনা ই-জুডিশিয়ারি। ই-জুডিশিয়ারি শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের সকল আলাদতে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মামলা দায়ের করা হলে বিচার প্রার্থী জনগন ও আইনজীবিদের সাথে আদালতের গভীর সম্পর্ক স্থাপন হবে। সুপ্রিম কোর্টে ই-ফাইলিং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল মামলা অনলাইনে দ্রুততার সাথে গ্রহণ ও অনুমোদন করা যাবে বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি আরো বলেন, এনালগ মাধ্যমে মামলার নথি বের করা যে ভোগান্তি তা ডিজিটাল আর্কাইভের মাধ্যমে কমে আসবে এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল হওয়ায় ভৌত অবকাঠামোর প্রযোজনীয়তাও অনেক অংশে কমে যাবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
প্রত্যেকটা কোর্টে আমাদের আইনজীবীদের জন্য একটা ডিজিটাল কর্ণার তৈরি করা হবে। যেখানে আমাদের আইনজীবীরা ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বললেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।