চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে নেতৃত্ব দিতেই স্থাপিত হচ্ছে সেন্টার ফর ফোর আই আর এবং শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনলোজি (শিফট)। ২০২৫ সালের মধ্যেই এর কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।
সোমবার রাতে ‘শত বর্ষ শত আশা-রাইজ আপ’ওয়েবিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন প্রত্যয়ের কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসময় চাকরি প্রার্থী থেকে উদ্যোক্তা সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশের আগামী প্রজন্ম চাকরি দাতা হিসেবে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী ।
তার বক্তব্যের মধ্য দিয়েই প্রযুক্তিখাতের নতুন উদ্যোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শুরু হয় ছয় পর্বের এই ওয়েবিনার সিরিজটি।
ওয়েবিনার সিরিজের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
তাকে উদ্দেশ্য করে স্থনীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে নতুন উদ্ভাবনের মূল ভিত্তি উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী পলক। তিনি বলেন,বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং এ খাতের উন্নয়নের ও বিকাশে এ ধরনের কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো সুদৃঢ় করবে। বাংলাদেশ ও ভারতের স্টার্টআপ খাতের মধ্যেকার সম্প্রসারিত এই সহযোগিতায় উভয় দেশ লাভবান হবে।
ইতোমধ্যেই গত ৪ বছরে ফিনটেক ,লজিস্টিক এবং ডিজিটাল ই-কমার্সসহ স্টার্টআপ সেক্টরে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান পলক।
তিনি বলেন, সরকার স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং এর উন্নয়ন ও বিকাশে আইডিয়া প্রকল্প এবং স্টাটআপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠাসহ নতুন নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে তরুণ উদ্ভাবকদের মেন্টরিং, কোচিং, হাইটেক পার্ক সমূহে কোস্পেস, সিডমানি প্রদান সহ বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করছে।
অপরদিকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে রাইজ আপ প্ল্যাটফর্মটি ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে পরামর্শদাতা, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পারিচালনা করেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা জাবীন।
উদ্বোধনের পর ‘বাংলাদেশ ও ভারতের স্টার্টআপ ল্যান্ডস্কেপ- টেক স্টার্টআপস ট্রান্সফর্মিং দ্য ফিউচার’ বিষয়ক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী বিজন ইসলামের সঞ্চালনায় এই পর্বে ভারত ও বাংলাদেশের স্টার্টআপ ক্ষেত্রে কর্মরত উদ্যোক্তা ও নির্বাহীরা আলোচনায় অংশ নেন।
তাদের মধ্যে মোহালির ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেসের (আইএসবি) স্টার্টআপ ইনকিউবেশন অ্যান্ড এক্সিলারেশন বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যামিনী ভূষণ পাণ্ডে, ভারতের আইএসপিআরটি ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং জাতীয় স্টার্টআপ উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শরদ শর্মা, বাংলাদেশে চালডালের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম আলীম এবং অ্যাঙ্করলেস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী রাহাত আহমেদ ছিলেন।