আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের আয়োজক দেশ হওয়ার আশাবাদ ব্যাক্ত করার মধ্য দিয়ে শেষ হলো তৃতীয় বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২০। রোববার প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বক্তব্যে বর্তমান প্রজন্ম যারা রোবট অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে দেশের মান উজ্জ্বল করছে, তারাই যদি রোবট তৈরি করে তাহলে আর বিদেশ থেকে কোন রোবট আমদানির প্রয়োজন পড়বে না বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের আয়োজক দেশ হতে সরকারের পক্ষ থেকে আয়োজকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক লাফিফা জামালের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড.মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড.এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক এনামুল কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামীম আহমেদ দেওয়ান এবং উই রোবটিকস সিইও পেট্রিক মায়ার।
অনুষ্ঠানে প্রথম বারেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ দলের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বাজায় রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বিশ্বের প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ ফ্ল্যাইং ল্যাবস এর কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উই রোবটিক্স এর নির্বাহী পরিচালক এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিক মায়ার।
মুজিব বর্ষে দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলা ভাষায় স্ক্যাচ প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে রোবট সম্পর্কে পড়াশুনা করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুনির হাসান।
অনুষ্ঠান শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল অনুযায়ী, রোবটিব কুইজে ছোটদের বিভাগে স্বর্ণ জয় করেছে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাদিদ উর রহমান, চ্যালেঞ্জ বিভাগে সানবিম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র নাহিয়ান ইয়াজদান রহমান ও চিটাগাং গ্রামার স্কুল ঢাকার প্রতিযোগী কাজী মুস্তাহিদ লাবিব ।
ক্রিয়েটিভ ক্যাটাগরিতে ছোটদের বিভাগে উইলিয়াম কেরি অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী জাইমা জাহিন ওয়ারা এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ছাত্র মিসবাহ উদ্দিন ইনান দলীয়ভাবে স্বর্ণ জিতেছে। একই বিভাগের চ্যালেঞ্জিং দলে স্বর্ণ জয় করেছে জালালাবাদ ক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের তাশরিক আহমেদ ও আহমেদ ইশতিয়াক এবং নটেরডেম কলেজের শোয়ায়েব আহমেদ রাতুলের দল।