ডিজিটাল আদালতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলছে, ডিজিটাল আইন অপব্যবহারকারী অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী, অর্থ লেনদেনকারী বা গ্রাহকদের সাথে প্রতারণাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ না থাকলেও মুক্তমনা, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল ব্যক্তি বা সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে প্রয়োগের ঘাটতি হচ্ছে না।
আইনটির ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমান সময়ে দেশের সকল কার্যক্রমের পাশাপাশি আদালতের কার্যক্রমও ডিজিটাল বিন্যাস বা অনলাইনে করা হচ্ছে। এই ডিজিটাল বিন্যাসের অপব্যবহার বন্ধে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮ পাশ করে। এই আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে এই রায় বাতিল হোক।”
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি ব্যবহারকারী এই আইনের আওতায় রয়েছে। না মানলে পরিণাম ভয়াবহ। অথচ একই সাথে সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ পাশ হলেও পরিবহন শ্রমিকদের চাপের মুখে তা সংস্কার করে সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৯ করা হয়। শুধু তাই নয় এই আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ৬ মাস এই আইন প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম কর্মীরা ব্যাপক প্রচার চালায় এই আইন সম্পর্কে। যার ফলে ৯০ লক্ষ পরিবহন শ্রমিকের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও এই আইন সম্পর্কে কমবেশী সচেতন হয়েছে। দুঃখের বিষয় প্রায় ১০ কোটি ব্যবহারকারীকে সচেতন করতে একদিনও সময় দেয়া হয়নি।
করোনা মহামারীর মত এই আইন ব্যবহারেও ভয়াবহতা তৈরী হয়েছে। এতে করে গবেষণামূলক, গঠনমূলক ও অনুসন্ধানমূলক সংবাদ ও তথ্য উপস্থাপন হ্রাস পেতে পারে। সেই সাথে প্রযুক্তি নির্ভর দেশ গড়াও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই সরকারকেই ভাবতে হবে। সেই সাথে ডিজিটাল আদালতের কাছে আমাদের দাবি মাননীয় আদালত এই আইন বাতিল, প্রয়োগ বা ভবিষ্যতের ব্যাপারে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করুক, যোগ করেন তিনি।