আগামী ২৬ অক্টোবর গুলশানস্থ ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৫টি বুথে ভোট নেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনার মো: নজরুল ইসলাম বাবু এমপি ‘র নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা করবেন বীরেন্দ্রনাথ অধিকারী ও তৌহিদ হোসেন।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহণের আনুষ্ঠিক সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সর্বশেষ পূর্ণবিন্যাস হয়েছে ভোটার নম্বর। নতুন এই নম্বরেই সাধারণ ও সহযোগী দুই ক্যাটাগরির ব্যালটে নিজেদের রায় দেবেন ভোটাররা।
এবারের ভোটে সাধরণ ক্যাটাগরিতে ৯ পদের বিপরীতে মোট ১৭ জন এবং সহযোগী ক্যাটাগরিতে ৪ পদের বিপরীতে রেকর্ড ৮ জন প্রার্থী লড়ছেন। সাধারণ ক্যাটাগরিতে ইতিমধ্যেই প্যনেল ভিত্তিক প্রচারণা চললেও ভোট গ্রহণ হবে ব্যলট ক্রম অনুযায়ী। ভোটে সাধারণ সদস্যরা প্রত্যেকে ৯টি এবং সহযোগী সদস্যরা প্রত্যেকে ৪টি করে ভোট দিতে পারবেন। ক্রস বা টিক দিয়ে ভোট দিতে হবে। ক্যাটগরি সংখ্যা অনুযায়ী সকল প্রার্থীকেই ভোট দিতে হবে। অর্থাৎ সাধারণ ক্ষেত্রে ৯ ও সহযোগী ক্ষেত্রে ৪ জনের বেশি বা কম ভোট দিলে ভোট বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, ৩১৭ সহযোগী সদস্য এবং ১১৪ সাধারণ সদস্য মিলে মোট ৪৩১ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। দীর্ঘদিন ভোটের বাইরে থাকায় এবার ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন অভিভাবক নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করবেন তারা। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ভোট দিতে না পারা সাধারণ সদস্যরা বলছেন, এই বৃত্ত ভাঙতেই তারা এবার প্রার্থী নির্বাচনে গুরুত্ব দেবেন।
একজন ভোটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেছেন, এখন পর্যন্ত আইএসপিএবি’র ওয়েব সাইটে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। নেই নির্বাচনের তফসিল ও প্রার্থীদের বিষয়েও কোনো তথ্য। কিন্তু যারা দীর্ঘদিন এই সংগঠনটিতে জেঁকে বসে আছেন তাদের ছবি ও বিভিন্ন ইভেন্টের ছবি ঝুলছে সেখানে। এটা কাম্য নয়। আমি মনে করি, আইএসবিএবি সেক্রেটারিয়েট শক্তিশালী না হলেও সংগঠনটি কখনো মূল স্রোতে থাকতে পারবে না। সংগঠনটি সবার হয়ে উঠবে না।
অপর একজন ভোটারের মতে, নানা কারণে সংগঠনে একটা স্থবিরতা বিরাজ করছে। ফলে এই নির্বাচনটা এখন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যালটের মাধ্যমেই এই স্থবিরতার অবসান ঘটবে। সংগঠনে বহুমতের প্রতিফলন ঘটবে। ফলে এবার বদলে যেতে পারে দীর্ঘ দিনের হিসাব-নিকাশ। নির্বাচনে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনাই বেশি।
আগামীকাল পড়ুন: প্রার্থীদের কথা