সদস্য, নীতিনির্ধারক এবং গণমাধ্যমে ই-ক্যাব কে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে খসড়া ইশতেহার ঘোষণা করেছে দ্য চেঞ্জ মেকার্স। থিম সং দিয়ে নিজেদের আগাম বিজয় ঝান্ডাও উড়িয়েছে এই প্যানেল সদস্যরা।
ইশতেহারে সদস্যদেরকে সংগঠনের ‘মূল শক্তি’ বিবেচনায় নিয়ে ই-ক্যাব সচিবালয়কে শক্তিশালী করতে ২০২৩ সালের মধ্যে একজন নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরার পাশাপাশি আর্থিক সংস্থানে ৬টি ব্যাংক থেকে কো-লেটারাল ঋণ প্রাপ্তি এবং আয় করমুক্তি ও ট্যাক্স বিষয়ে সাপোর্ট দিতে সুনির্দিষ্ট একটি রিসোর্স সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়াও মোট সদস্যের ৮০ শতাংশকে সক্রিয় রাখা এবং বছর শেষে টাউন হল মিটিং করার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ই-জিপি’র মতো টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ব্যয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও ইথিক্যাল স্পন্সরশিপের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ১০০ জন উদ্যোক্তাকে মেম্বার ইনকিউবেশন ও ২০০ জনকে বিদেশে ব্যবসায়ের সুযোগ করে দেয়ার কথা রয়েছে এই ইশতে হারে। প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার ১ শতাংশ ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য আদায় করে নেয়া এবং এলআইসিটি প্রকল্প থেকে কর্মীদের জন্য ১০ হাজার টাকার বেতন ভর্তুকি দেয়ার।
মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডির একটি রেস্তোরায় এই ইশতেহার ঘোষণা দেন চেঞ্জমেকার্স টিমের সদস্য জীশান কিংসুক হক। এসময় আগামীতে পর পর দুইবার কেউ নির্বাচিত হলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন সংগঠন বিধিতে এমন পরিবর্তন আনারও ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে প্যানেল প্রার্থী বিপ্লব ঘোষ রাহুলের সঞ্চালনায় একে একে নিজেদের দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা, মোঃ তাসদীখ হাবীব, আবু-সুফিয়ান নিলাভ, মোঃ ইলমুল হক, নুসরাত লোপা, জীশান কিংশুক হক, শাফকাত হায়দার ও ওয়াসীম আলিম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, আমি ইলেকশন পরিবারের সদস্য। তবে আজ কারও জন্য ভোট চাইবো না। যাকে আপনি চান তাকেই নির্বাচন করবেন। আমাদের নন্দ লাল হলে চলবে না। ট্রেডলাইসেন্সে ‘ই-কমার্স’ পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনতে হবে।
এটুআই ই-কমার্স হেড রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, যাকে বেছে নেবেন তার দেওয়ার ক্ষমতা আচে কি না। অর্থ থাকলেই হবে না।
এছাড়াও এসএসএল কমার্জ এর প্রতিনিধি ইফতেখার বলেন, ই-ক্যাব আমাদের সংগঠন। প্যানেল বা ব্যক্তির কথা না বলে আমি বলতে চাই ভুল থেকেই আমরা শিক্ষা নিবো। এ জন্য আমাদের মার্কেট অ্যানালাইসিস ইউনিট থাকতে হবে।
স্বার্থের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, তবে যারা যোগ্য এবং সর্বোচ্চ স্বার্থের উর্ধ্বে থাকবে তাদেরকেই পরবর্তী নেতৃত্বে দেখতে চাই বলে প্রত্যাশা পেশ করেন নারী উদ্যোক্তা তানিয়া।
বেসিস পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু বলেন, প্রচলিত আছে চাল ডাল যে দামে ডিম দেয় মুরগীও সেই দামে দিতে পারে না। যোগ্যতা ও দক্ষতার পাশাপাশি সংগঠনে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরী লিডারশিপ এবং কর্পোরেট ও সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে অ্যাকসেস। ভোটাররা সবাই ইন্টিলিজেন্ট। তারা জেনে-বুঝে বিচার বিবেচনা করেই যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করবেন আশা করি।
চেঞ্জ মেকার্স টিম লিডার ওয়াসিম আলিম বলেন, করোনায় ই-ক্যাব ভালো করেছে বলে যে কথা বলা হয় তা সত্য হলেও করোনার পরে রীতিমতো লুটপাট হয়েছে। অপর সদস্য জিসান কিংসুক হক এই বক্তব্যকে আরো জোরালো করে বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে ই-ক্যাব মামাতো খালাতো ভাইয়ের সংগঠন হবে না।