সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বদলে মেটাভার্সে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে ফেসবুক। মুঠোফোনের চারকোনো বাক্স বন্দি জীবন নয়; ফেসবুকেই নতুন বসতি গড়তেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন প্লাটফর্মটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই এই ভার্চুয়াল জগত উপহার দিতে চান তিনি। যে জগতের বাসিন্দা হিসেবে কেবল পোস্ট করা, মন্তব্য লেখা কিংবা গ্রুপ ভিডিও কল করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। আড্ডার পাশাপাশি চলবে মেটাভার্সের ভার্চ্যুয়াল পরিবেশে অফিসের বৈঠকও। বৈঠকে অংশ নিয়ে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে যেমন কথা বলা যাবে, তেমনি হাটতে হাটতেও চলবে কথপোকথন। অংশগ্রহণকারীর চেহারার সঙ্গে মিল রেখে তৈরি আভাটার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই ভিআর হেডসেটে বৈঠকের বাস্তব অভিজ্ঞতা পাবেন ফেসবুক ব্যবহারকারী।
ফেসবুক-প্রধানের ভাষায়, এটা ‘ইনফিনিট অফিস’। সেখানে আপনি কেবল কনটেন্ট দেখবেন না, নিজেও এর ভেতর থাকবেন। ফোনকলে কাজ সারার বদলে আপনি হলোগ্রাম হিসেবে আমার পাশে এসে বসতে পারবেন। শত শত মাইল দূরে থেকেও তখন মনে হবে আমরা যেন এক জায়গায় বসে আছি।
দ্য ভার্জের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন,প্রযুক্তির এই পরাবাস্তবতায় মুঠোফোনের পর্দায় কনসার্টের ভিডিও দেখার পর চাইলে ভার্চ্যুয়াল ত্রিমাত্রিক কনসার্টে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকবে। অংশগ্রহণ করা যাবে খেলা-ধূলাতেও। এতে ব্যবহারকারী অন্যদের সঙ্গে উপস্থিত থাকার অনুভূতি পাবেন, যে অভিজ্ঞতা দ্বিমাত্রিক অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে মিলবে না।
নতুন এই অভিজ্ঞতা দিতে ২০১৪ সালেই ২০০ কোটি ডলারে অকুলাস কিনে নেয় ফেসবুক। এর পাঁচ বছর পর চালু করে হরাইজন নামে ‘ভার্চুয়াল স্পেস’। অকুলাস হেডসেটের মাধ্যমে নিজেদের কার্টুন-সদৃশ অ্যাভাটারের মাধ্যমে এই স্পেসে আলাপ করার সুযোগ পান আমন্ত্রিতরা। এখন এই যন্ত্রটির আরো আরামদায়ক ব্যবহার নিয়েই কাজ করছেন ফেসবুকের প্রকৌশলীরা।