রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ে আগুন দিয়ে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে মো. আল-আমিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ চলমান বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ও নিয়োগপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের ডাটা বিনষ্ট করার প্রয়াসে এমনটা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে পিএসসি কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পিএসসির কর্মচারীরা। পরে বিকেলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শেরেবাংলা নগর থানায় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ধারা ১৫৪ অনুসারে তার বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে পিএসসি। পরে তা মামলা আকারে গ্রহণ করে আল-আমিনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার আল-আমিনের বয়স আনুমানিক ৩৯ বছর। তিনি রাজধানীর কাফরুল থানার ইব্রাহিমপুরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় পিএসসিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ, আনসার, নিরাপত্তাকর্মীসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের আন্ডার গ্রাউন্ডের গ্যারেজের ভেতরে একজন বহিরাগত প্রবেশ করে প্লাস্টিকের কাভার দিয়ে আটকানো বিদ্যুতের মোটা তার প্লায়ার্স দিয়ে কাটার চেষ্টা করেন। এসময় ঘটনাটি কমিশনের নিরাপত্তাকর্মী আরিফুর রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করলে প্রতিষ্ঠানের অন্য ব্যক্তিরা গিয়ে তাকে আটক করে।
পিএসসি বলছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে, অজ্ঞাতপরি ব্যক্তি সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের মতো নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশে আন্ডারগ্রাউন্ডে প্রবেশ করেন। কারণ তিনি বিদ্যুৎ প্রবাহিত তার কাটছিলেন অর্থাৎ, যা বিনষ্ট করে আগ্নিকাণ্ড ঘটানো সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ চলমান বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ও নিয়োগপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের ডাটা বিনষ্ট করার প্রয়াসে এ ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চালিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
‘কারণ পিএসসির গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নষ্ট করা গেলে অনেক নিয়োগপ্রাপ্ত বা পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রার্থীদের বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।’