দেশের প্রযুক্তি খাতের বাণিজ্যিক সংগঠন বিসিএস, ই-ক্যাব এবং বেসিস-এ প্রশাসক নিয়োগের পর আগাম নির্বাচন করতে যাচ্ছে ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। পরিবর্তীত পরিস্থিতির নতুন বাংলাদেশে সাধারণ সদ্যদের ভোটে ১৫ মাস আগেই ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনে গঠন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মোহাম্মাদ আলীকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের নির্বাচন বোর্ড এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এ কে এম শামসুল ইসলামকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ডের অপর সদস্যরা হলেন- সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ এরশাদ হোসেন ও রাকিব হোসেন। অপরদিকে আপিল বোর্ডের বাকি সদস্যরা হলেন- লেফট্যান্টে কর্নেল আহম্মদ দানিয়া ইসলাম এবং অ্যাডভোকেট মো: নিহার হোসেন (ফারুক)।
নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ আলী বলেছেন, গতকাল আমরা চিঠি পেয়েছি। আগামী সপ্তাহে মিটিং করে নির্বাচনের তফসিল প্রস্তুত করবো। প্রথমেই আমরা খসড়া ভোটার তালিকা দিয়ে তার ওপর আপত্তি ও সংশোধনের উদ্যোগ নিবো। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি ফলপ্রসু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এই সময়ে বর্তমান কমিটি তাদের দৈনিন্দিন কাজ চালিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগষ্ট বিপ্লব উত্তর সময়ে ইন্টারনেট শাটডাউন এবং পতিত সরকারের পদধারীদের নিয়ে গঠিত ২০২৪-২৬ মেয়াদকালের কার্যনির্বাহী কমিটি ব্যাপক বিতর্কের মুখে পরে। ফলে কমিটি থেকে তিন জন সদস্য পদত্যাগ করেন। এরপর খোদ সংগঠনের সভাপতিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সমিতির সংঘবিধি ১৩(৪) অনুযায়ী এবং বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা/৯৪ অনুযায়ী, গত ১০ ডিসেম্বর কার্য নির্বাহী পরিষদ বৈঠকে বসে। বৈঠকে সাধারণ সদস্যদের অনাস্থা এবং প্রশাসক বসার শঙ্কায় বর্তমান কমিটি গণতান্তিক ধারায় নতুন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন ও আপিল বোর্ড গঠন করা হয়।
চলতি বছরের ১৭ মার্চ আইএসপিএবি ২০২৪-২৬ মেয়াদকালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।