তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগামীর রাজনীতি নদীর রাজনীতি। পানিবণ্টন চুক্তিসহ নদীকেন্দ্রিক বিষয় নিয়ে সামনে আরও কাজ করতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, নদী দখলবাজদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকায় প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ(পিআইবি) এর অডিটোরিয়ামে ফ্যাসিবাদের কবলে নদী শীর্ষক সভায় এমন মন্তব্য করেন উপদেষ্টারা।।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নতুন করে যে সংবিধান লেখা হবে তাতে পরিবেশ রক্ষায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করা হবে। উন্নয়ন ফ্যাসিস্টদের শব্দ। উন্নয়নের কথা বলে তারা আমাদের গণতন্ত্র হরণ করেছে, পরিবেশ ধ্বংস করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার আরও বলেন,আমরা দেখি হাওরের রাস্তায় আলপনা আঁকা হয় পরবর্তীতে সেই রং গিয়ে পানিতে পড়ে এতে অনেক মাছ মারা যায়, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে বিষয়ে কথা বলা লোকের সংখ্যা বর্তমান সমাজে একেবারেই কম। তাই নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইন করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আবরার ফাহাদ নদীর কথা বলতে গিয়ে শহীদ হন। ফ্যাসিবাদের কবলে পড়ে বিগত ১৬ বছরে নদীর যে বিপর্যস্ত অবস্থা তার সমাধান কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। নদী, কৃষি এবং পরিবেশ নিয়ে জাতীয় নীতি গ্রহণ করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে নদীর সম্পর্ক। স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের স্লোগান ছিল পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা। ঢাকার চতুর্দিকে চারটা নদী রয়েছে এই নদীগুলোকে মাথায় রেখে নগর পরিকল্পনা করতে পারলে তা জনবান্ধব হতো। বিভিন্ন মাফিয়ারা নদী দখল এবং পরিবেশ ধ্বংস করে গোষ্ঠীস্বার্থ হাসিল করেছে। আমরা যাতে দখলদারদের প্রতিহত করতে পারি সে জন্য রুপরেখা প্রণয়ন করা হবে। দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী রূপরেখা প্রণয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।