রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি মীরেরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু ইপিজেড বা জাপানিজ ইপিজেড স্থাপন এবং মাতারবাড়ি পোর্ট নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। রোববার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আলোচনা হয়েছে।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন। আমরা সাংস্কৃতিক বিষয়সহ দুই দেশের সাংস্কৃতিক গ্রুপের মধ্যে আদান প্রদান যাতে আরও বেশি হয় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান আমাদের কাছে সবসময় উন্নয়নের একটি মডেল। গত ৫২ বছর জাপান যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করেছে, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভবিষ্যতে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে যাতে কাজ করতে পারি সে কথা জানিয়েছি।
রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ টানলে আমি তাকে জানিয়েছি ফ্রি, ফেয়ার এবং ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন হবে। যদিও নির্বাচন করা, স্থগিত করা সেটি হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু সরকারের ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা থাকে। সেক্ষেত্রে আমরা সর্বাত্মভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবো বলে তাকে বলেছি।
এছাড়া রাজনীতিকে স্থিতিশীল করতে হলে সব রাজনৈতিক দলের কাজ বা দায়িত্ব। ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা সেটি কখনো কারও জন্য সমীচীন নয়। সেই কথা আমি তাকে বলেছি এবং একই সঙ্গে দেশে যাতে কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা না হয়, যেটা ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে হয়েছে। সময় সময় বিএনপি করে এবং এখনো করার অপচেষ্টা করছে, উসকানি দিচ্ছে, এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের অংশগ্রহণে, অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও সুন্দর এবং সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে আমি তার সঙ্গে আলোচনায় বলেছি।