সুবিস্তৃত মহাশূন্যে আবিষ্কৃত হয়েছে ছুটে বেড়ানো ‘চাঁদের টুকরা’। ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই টুকরাটি পৃথিবীর চারপাশে ঘুর ঘুর করে। কিন্তু কাছে ঘেঁষে না।
প্যান স্টার্স ১ টেলিস্কোপে ধরা পড়া অদ্ভুত এ মহাজাগতিক বস্তুর হাওয়াইয়ান নাম ‘কামোওয়ালেওয়া’, যার অর্থ বলা যায় টলমল মহাজাগতিক বস্তু।
কিন্তু আচরণগত কারণে একে বলা হচ্ছে ‘লাজুক পাথর’।
কেননা, ঘুরতে ঘুরতে এ পর্যন্ত পৃথিবীর সঙ্গে অন্তত ৯০ লাখ মাইল দূরত্ব বজায় রেখেছে টুকরোটি। এ দূরত্ব পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের ৩৮ গুণ। আবার সর্বোচ্চ আড়াই কোটি মাইলের বেশি দূরেও যায়নি। অন্যদিকে যখন–তখন ছায়ায় আড়াল হওয়ার স্বভাব আছে।
গত ১১ নভেম্বর কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে সে রহস্যভেদের দাবি করেছেন একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার শিক্ষার্থী বেঞ্জামিন শার্কি রয়েছেন এই দলে। তিনি জানিয়েছেন, গঠন এবং কক্ষপথ দেখে বলা যায়, কামোওয়ালেওয়া হয়তো চাঁদেরই একটি খণ্ড। অতীতে কোনো এক সময় হয়তো উল্কার আঘাতে চাঁদ থেকে খসে পড়েছে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্ষপথে আবর্তনের হিসাব কষে দেখা গেল পাথরখণ্ডটি প্রায় এক শতাব্দী আগে থেকে পৃথিবীকে ‘নিয়মিত অনুসরণ’ করছে। আর আগামী কয়েক শতাব্দী ধরে তা চলবে।