ড্রোন এবং অন্যান্য উড়ন্ত লক্ষ্যে আঘাত হানতে লেজার অস্ত্র তৈরি করছে ইসরায়েল। ২০২৫ সালের মধ্যে এই অস্ত্রটি ব্যবহার করতে পারে দেশটি। এজন্য এলবিট সিস্টেমস লিমিটেডের সঙ্গে কাজ করছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়ানিভ রটেম সংবাদকর্মীদের বলেছেন, লেজার অস্ত্রের প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে একাধিক ড্রোন সফলভাবে ফেলে দিয়েছে সেটি। হালকা উড়োযানে লেজার অস্ত্রটি যুক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি।
রটেম বলেছেন, ২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতার পরীক্ষামূলক একটি সংস্করণ তিন থেকে চার বছরের মধ্যে দেখা যাবে। আবহাওয়া খারাপ থাকলেও লক্ষ্যে আঘাত হানতে কোনো সমস্যা হবে না নতুন লেজার অস্ত্রটির।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, এলবিট এবং রাষ্ট্রমালিকানাধীন রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস লিমিটেড মিলে লেজার-নির্ভর আরেকটি অস্ত্র তৈরি করছে, যেটি মাটি থেকে উড়োযান ফেলে দিতে ব্যবহার করা যাবে। ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার রেঞ্জের অস্ত্রটি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পরীক্ষা চালানো হলেও লেজার অস্ত্রটির নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় এটি যুক্ত হতে পারে।
খবরে বলা হয়েছে, এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় স্বল্প দূরত্বের রকেট হামলা ঠেকিয়ে দেওয়ার আয়রন ডোম এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা ঠেকানোর ডেভিডস স্লিং ও অ্যারো সিস্টেমসও আছে।
এদিকে লেজার রশ্মি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র ‘দিকভ্রষ্ট’ করতে সক্ষম সি-মিউজিক নামের আরেকটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা উড়োযানে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে এলবিট। এলবিটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অরেন সাবাগ বলেন, নতুন লেজার অস্ত্রটিতে সি-মিউজিকের মতোই ট্র্যাক করার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। তবে সেটি উত্তপ্ত করে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করবে, যেন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাতে আগুন ধরে যায়।