ড.দীনেশচন্দ্র সেন গবেষণা পরিষদ, ঢাকা ও আচার্য দীনেশচন্দ্র রিসার্স সোসাইটি, ভারতের যৌথ উদ্যোগে স্বর্ণমুকুট এবং একইসঙ্গে জাতীয় সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা- ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুওর (ডিওআরআরপি) পক্ষ থেকে ‘বিজয় বন্ধু’ সম্মাননায় ভূষিত হলেন কম্পিউটারে বাংলা কিবোর্ডের কিংবদিন্তী মোস্তাফা জব্বার।
দীনেশচন্দ্র সেন সংকলিত মৈমনসিংহ গীতিকা তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা প্রকাশের উদ্যোগ, বিজয় বাংলা সফটওয়ার এবং বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যার উদ্ভাবনসহ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা দেয়া হয় বাংলা ভাষা সাহিত্যের এই লেখককে।
রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি মিলনায়তনে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে ভূষিত করা হয় দুইটি সম্মাননায়। পড়িয়ে দেয়া হয় সম্মাননার বিশেষ মুকুট ও গাউন।
সম্মাননা স্মারক হিসেবে ডিওআরআরপি পরিবারের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর হাতে রূপার থালা তুলে দেন সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ নূরুল আমিনও নির্বাহী উপদেষ্টা মো. আজহার আলী তালুকদার।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিতে ছাপার অক্ষরে বিজয় সফটওয়্যারের ব্যবহার আমার জীবনের অন্যতম অর্জন। প্রতি বছর বইমেলায় যখন দেখি আমার তৈরি ডিজিটাল অক্ষরে ছাপা হচ্ছে অন্যের ভাবনা, চিন্তা, তখন মনে হয় আমার আর অর্জনের কিছু বাকি নেই।
‘বাংলাদেশের জন্য ভাষা আন্দোলন অস্তিত্বের এক বহিঃপ্রকাশ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দেশ যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, আমার কর্মক্ষেত্রের ভিত্তিও তাই।
এসময় মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র সেনের জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন এবং শিগগির পূর্ববঙ্গ গীতিকার নতুন মুদ্রণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব অধ্যাপক ড.বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, দীনেশচন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী দেব কন্যা সেন, ভারতের বিশিষ্ট সাহিত্যিক পার্থসারথী ঝা, চকরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক কনক বরণ বড়ুয়া, বেসরকারি সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দি রুরাল পুওর এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান,রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ব বিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অধ্যাপক ড.শহীদুর রহমান,ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিলেট এর ডিন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, নায়েম এর পরিচালক শাহ মো: আমির আলী এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে শতবর্ষের মৈমনসিংহ গীতিকা ১৯২০-২০২০ উপলক্ষ্যে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন সোসাইটি, ভারত কর্তৃক দীনেশ – রবীন্দ্র সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড.আ আ ম, স আরেফিন, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ব বিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অধ্যাপক ড.শহীদুর রহমান,ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সিলেট এর ডিন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ প্রমূখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন।