ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন এবং ২০০৯ পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিতের অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে থাকবে। এছাড়াও মোবাইল উৎপাদন এবং রপ্তানি এবং দেশীয় সফটওয়্যার শিল্প বিকাশসহ আমদানীকারক থেকে ঊৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা দেশীয় শিল্পের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আজ বুধবার ঢাকায় ঢাকা শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ এসোসিয়েশন আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন।
এসোসিয়েশনের সভাপতি এ এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় মন্ত্রী এম এ মুহিতের জীবনের উল্লেখ্যযোগ্য বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন তার মেধা জ্ঞান, আদর্শ বাংলাদেশের ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে থাকবে।
মুহিত যে কারও জীবনের আদর্শ হতে পারে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বাংলাদেশের অর্থ ব্যবস্থাপনার কিংবদন্তী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি ছিলেন এক বিরল প্রতিভার অধিকারী।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন বিরল প্রতিভা হারিয়েছে আমি হারিয়েছি একজন অতি আপনজন। ২০০১ সালের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা সেলে তার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এক অধ্যায় বললেন জনাব মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবুল মাল আবদুল মুহিতের অবদান চির জাগরূক হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জনাব মুহিত তার কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন যুগ থেকে যুগান্তর।