পরপর তৃতীয় বছরেও বাজেটে করপোরেট কর কমানো হয়েছে। বাজেট বক্তৃতা অনুযায়ী, পাবলিকলি ট্রেডেড বা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার বর্তমানে সাড়ে ২২ শতাংশ। এটি কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। আর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির করহার বর্তমানে ৩০ শতাংশ। এটি কমিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ করা হয়েছে। একক ব্যক্তির কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিসংঘ ও কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা এবং অন্যান্য করযোগ্য সত্তার করহার আড়াই শতাংশ কমে সাড়ে ২৭ শতাংশ করা হয়েছে।
তবে ব্যাংক-বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিগারেট, মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য শ্রেণির করপোরেট করের হার অপরিবর্তিত রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই করপোরেট কর হার কমানোর দাবি করে আসছেন মোবাইল অপারেটররা ব্যবসায়ীরা। এবারের বাজেটেও তার প্রতিফলন না দেখে বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ বলেছে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়েটা।
অপারেটরটির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেছেন, “প্রস্তাবিত বাজেটে টেলিযোগাযোগ খাতের ওপর আরোপিত ২ শতাংশ ন্যূনতম আয় কর প্রত্যাহার না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই খাতে একটি যৌক্তিক কর কাঠামো ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক হতো। উচ্চ করভারে জর্জরিত টেলিযোগাযোগ খাতের অন্যান্য বিষয়গুলোও প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত রয়ে গেছে।
আমরা আশা করি, বাজেট পাশ হওয়ার আগে ডিজিটাল অর্থনীতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান বিবেচনায় নিয়ে এ খাতের কর কাঠামো, বিশেষ করে ন্যূনতম আয় করের দিকটি সরকার পুনর্বিবেচনা করবে।”