শেয়ারধারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে দেশের শীর্ষ টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) অনলাইনে কোম্পানির ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। গ্রামীণফোন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে জানানো হয়, পরিচালনা পর্ষদ প্রথমে অন্তর্বর্তীকালীন ১২৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ ১০ টাকার শেয়ারে ১২ দশমিক ৫০ টাকা প্রতি শেয়ার) এবং গত ডিসেম্বর শেষে আরও ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। সব মিলিয়ে কোম্পানিটি ২০২১ সালে শেয়ারধারীদের জন্য সর্বমোট ২৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, যা চূড়ান্তভাবে আজকের বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ বলেন, ২০২১ সাল আমাদের জন্য বেশ শিক্ষণীয় একটি বছর ছিল। পুরো বছরজুড়েই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট উদ্ভূত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের টিম বেশ দৃঢ় ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তাই তারা গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান কানেকটিভিটি সল্যুশনের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়েছে। প্রতিকূল সময় সত্ত্বেও টেকনোলজি সার্ভিস প্রোভাইডার ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেকটিভিটি পার্টনার হিসেবে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ, পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে উদ্ভাবন এবং কমিউনিটিকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য আমরা নেটওয়ার্ক ও তরঙ্গের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করেছি এবং অত্যাধুনিক ও ভবিষ্যৎ উপযোগী সক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্ক অপারেটিং পার্টনার অন্তর্ভুক্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট রয়েছি। সবসময় গ্রামীণফোনের সঙ্গে থাকার জন্য সব পার্টনার, কর্মী ও গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। একসঙ্গে আমরা সবকিছু সম্ভব করতে পারবো।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশের স্বনির্ভর ডিজিটাল অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যপূরণে ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ উপযোগী সক্ষমতা তৈরি, পরিচালন মডেল ও অর্থপূর্ণ সামাজিক প্রভাব তৈরিতে ২০২১ সাল আমাদের জন্য ছিল ভিত্তিস্বরূপ। নেটওয়ার্ক ও অভিজ্ঞতার মান বৃদ্ধির ফলে গ্রাহক সংখ্যা ও সেবার ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধির গতিশীলতাসহ ইতিবাচক অর্থনৈতিক ফল অর্জন করতে পেরেছি। গ্রাহক, অংশীজন ও শেয়ারহোল্ডারদের জীবনে ভ্যালু তৈরির মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেকটিভিটি পার্টনার হিসেবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ডিজিটাল রূপান্তর ও পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে গত ২৫ এপ্রিল গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য ই-সিম নিয়ে এসেছে। যাত্রা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রেখে গ্রামীণফোনের পথচলার ২৫ বছর সম্পন্ন করেছে। এখন প্রতিষ্ঠানটি সামনের দিনগুলোতে দেশের মানুষের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে তাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রয়াসে কাজ করছে। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে, ডিজিটাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়।