বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাঠানো সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ২৬৮টি লিংকের মধ্যে ৯৪টি ভিডিও লিংক সরিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কর্তৃপক্ষ। অবশিষ্ট ১৭৪টি লিংক সরানো এখনো বাকি আছে।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। রাজধানীর রমনার প্রধান কার্যালয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সঙ্গে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) এক মতবিনিময় কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি এ তথ্য দিয়েছেন।
বিটিআরসি মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ‘ধর্ষণ শব্দ যে কনটেন্টগুলোতে (আধেয়) আছে, সেগুলো বিটিআরসি বলার আগেই ফেসবুক সরিয়ে দিয়েছে।’
এদিকে বিটিআরসির পাঠানো মুরাদের ১২০টি ইউটিউব কনটেন্টের মধ্যে দুটি সরানো হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ইউটিউব তাদের নীতিমালায় খুবই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেখানে কনটেন্ট রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা আছে। রিপোর্ট করার পর তাদের দল কাজ করে। বিটিআরসির সঙ্গে ‘টিম বিল্ডিং’ আরও ভালো করতে ইউটিউব এখনো রাজি হচ্ছে না। তবে বিটিআরসি চেষ্টা চালাচ্ছে।
ফেসবুক থেকে এখনো না সরানো মুরাদ হাসানের কনটেন্টগুলো সম্পর্কে মো. নাসিম পারভেজ বলেন, ভিডিও কনটেন্টে অতিরিক্ত কিছু কথোপকথন থাকে। সেটা আলাদা করে দেখতে হয়। ২০২১ সালে থেকে ফেসবুকের সঙ্গে সম্পর্কের খুব উন্নতি হয়েছে। এখন তিন মাস পরপর মিটিং হয় তাদের সঙ্গে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ মুরাদ হাসানের অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে বিটিআরসির ডিজিটাল নিরাপত্তা দলের সদস্যরা লিংকগুলো শনাক্ত করেন।