করোনা মহামারীতে ঘরের বাইরে আনাগোনা কমে যাওয়ায় অনলাইন নির্ভরতা বেড়েছে। আর সেই সুযোগে গত অর্থবছরে প্রায় দ্বিগুণ মুনাফা করেছিলো কোর টেলিকম্যুনিকেশন্স সার্ভিস প্রভাইডার এবং আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল অপারেটর বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানীর। মুনফার এই ধারা অব্যাহত রেখে এবার ১২৮০ জিবিপিএস ব্যন্ডউইথ সেবার মাধ্যমে অর্জিত আয় থেকে ল্যভ্যাংশ বন্টন করছে ১৭০০ কোটি টাকা। ফলে হেসে খেলে বিনিয়োগকারীদের ৩৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড।
আগামী ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভার্চুয়াল বার্ষিক সাধারণ সভায় এই নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এর আগে আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৩তম বোর্ড সভায় নিজেদের বিও হিসাব হালনাগাদ করার সুযোগ পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা।
এ বিষয়ে সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ডিজিবাংলা-কে বলেছেন, প্রতিযোগিতমূলক সেবার মূল্য নির্ধারণে ডাইনামিক গ্রাহক পলিসি, গ্রাহক বান্ধাব নীতিমালা এবং সেবা সন্তুষ্টির মাধ্যমেই এই ব্যবসায় সফলতা এসেছে। আগামীতে শতভাগ মুনাফা বৃদ্ধি না পেলেও এই ধারা অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির ২০২১ অর্থবছরের হিসাব শেষে অনুমোদিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ জুন সমাপ্ত আর্থিক বছরে মোট আয় করেছে ৩৪৪ কোটি ৮৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৬১ টাকা। এর মধ্যে কোম্পানির কর পরবর্তী নিট লাভ হয়েছে ১৯০ কোটি ৭৩ লাখ ৩১ হাজার ৮৬১ টাকা। শেয়ার প্রতি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৫৭ পয়সায়। এই আয় গত অর্থ বছরের চেয়ে বেড়েছে দ্বি-গুণ। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বিএসসিসিএল’র শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিলো ৫ টাকা ৪৯ পয়সা।
একইভাবে ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে কোম্পানির নগদ অর্থ প্রবাহে। রাজস্ব আদায়ে গুরুত্ব দেয়ায় গত অর্থ-বছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থ বছরের কোম্পানির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ১৫ টাকা ১৮ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। সব মিলিয়ে শেয়ার প্রতি সম্পদের মূল্যমানও এই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৪৯ পয়সায়। ফলে পূঁজিবাজারে বিএসসিসিএল’র শেয়ারের দর ওঠা-নামা করছে ২০০ টাকার ওপরে।