সোশ্যাল মিডিয়ার লাইভ ও ভিডিও বন্ধের প্রাযুক্তিক সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। প্রত্যাশা করা হচ্ছে অচিরেই সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ফেসবুক ইউটিউব।
২৭ অক্টোবর, বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, “স্যোসাল মিডিয়ার ক্ষেত্রেও আমরা প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করেছি। আমরা ইচ্ছে করলে এখন ফেসবুকের ছবি বন্ধ করতে পারব, ইচ্ছে করলে ফেসবুকের ভিডিও বন্ধ করতে পারব। ইউটিউবের লাইভ বন্ধ করতে পারব, ফেসবুকের লাইভ বন্ধ করতে পারব।”
এসময় কুমিল্লার ঘটনায় ৩০০ লিংকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার পাশাপাশি তার মন্ত্রণালয় ৩৬৪টি লিংক বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা সামগ্রীকভাবে শুরু থেকে যে কথাটা বলে আসছি, আমাদের দায়িত্ব ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণের। এই মহাসড়ক নির্মাণের দায়িত্বটা আন্তরিকতার সাথে পালন করার চেষ্টা করছি এবং আমরা ভবিষ্যতে নিজেরাও যাতে নিরাপদ থাকতে পারি, সেও চেষ্টাটাও করছি। এরইমধ্যে আলোচনায় এসেছে যে, আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রশ্নে সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যে আছি এবং সোস্যাল মিডিয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে। ‘কিন্তু ফেসবুক ইউটিউব বন্ধ করে দেওয়া একমাত্র সমাধান নয়। মাথা ব্যথা হয়েছে, ওষুধ দিয়ে সারাতে হবে। কেটে ফেলা যাবে না।’
‘আমরা অনেক আগে থেকে লড়াই করছিলাম- আমরা ডিজিটাল হচ্ছি, একই সঙ্গে আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগী হবো। আমরা যতো বেশি ডিজিটাল হবো, ততো বেশি ডিজিটাল নিরাপত্তার দিকটা থাকবে। এই যে, সামাজিক যোগাযোগ নির্ভর কিছু গুজব রটানো অথবা সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কথা বলছেন, এটি একটি দিক মাত্র। আমার লেন-দেন, ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু যখন ডিজিটাল তখন আমার তথ্যের নিরাপত্তা যদি দিতে না পারি, তাহলে ডিজিটালাইজেশন তো উলটো আমার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে’- যোগ করেন মন্ত্রী।
ফেসবুকের সঙ্গে ২০১৮ সাল থেকে আলোচনা চলছে জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি এখন পর্যন্ত ফেসবুকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। বাংলাদেশে তাদের বিশাল বাজার। বালাদেশের পরিস্থিতি ফেসবুক-ইউটিউব বুঝতে পেরেছে। আমরা বিশ্বাস করি, একদিন তারা আমাদের হুকুম অনুযায়ী চলবে এবং সব কাজ করবে।
বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে চাপ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই এখন তারা ভ্যাট দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। একইসঙ্গে ২০২১ সালের মধ্যেই দেশে ফাইভজি নেটওয়ার্ক পরীক্ষামূলকভাবে চালু এবং ২০২২ সালে এর সম্প্রসারণ করা হবে বলেও জনান তিনি।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপ পরিচালনা করেন সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া এসময় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।