করোণা মহামারীর মধ্যে ঘরে বসে থাকা আয়-রোজগার হারানো গ্রাহকের অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ডাটা ও টকটাইমের মারপ্যাঁচ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার সময় ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ছিল মাত্র ৮০০ জিবিপিএস। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের একযুগ পূর্তিতে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার হয় ২৪০০ জিবিপিএস। সে সময় ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে সরকার তা কমিয়ে এনেছে মাত্র ২৮০ টাকায়। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৫হাজার। পক্ষান্তরে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ৬১লাখ ৩০ হাজার।
ইন্টারনেট ডাটা ও টকটাইমের মারপ্যাঁচ বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ব্রডব্যান্ডেরর ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪ শত জিবিপিএস। আর প্রায় ১২ কোটি মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ব্যবহার করে মাত্র ৯ শত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। এখানে সহজেই অনুমেয় যে সর্বাধিক গ্রাহকদের সেবা দিতে এতো কম পরিমাণ ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করার পরেও মোবাইল ফোন অপারেটরদের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ এত বেশি কেন? এ নিয়ে গ্রাহকদের ভিতর ক্ষোভ জন্মেছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই প্রকাশ করছেন যেমন, টাকা দিয়ে ডাটা বা টকটাইম কেনার পরে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হবার পর অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম পরবর্তী রিচার্জের সময় পাওয়া যাচ্ছে না কেন?
নিজেই এই প্রশ্নের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, হিসাবটা খুবই সহজ,। যেমন ধরুন আপনি ১জিবি ডাটা কিনেছেন কিন্তু ব্যবহার করেছেন মাত্র ৫০০ এমবি, এরমধ্যে আপনার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। তাহলে অব্যবহৃত ৫২৪ এমবি কোথায় গেল? উত্তর খুবই সহজ, অব্যবহৃত এমবি দিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করে পুনরায় বিক্রি করা হয়েছে গ্রাহকদের কাছে। যেহেতু নিয়ন্ত্রক কমিশন ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণের জন্য কষ্ট মডেলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাই আমরা করোনা মহামারীতে দাম না কমিয়ে ইন্টারনেট ডাটা ও টকটাইমের মারপ্যাঁচ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের দাবি, অবহেলিত ডাটা টকটাইম পরবর্তী রিচার্জের সময় যুক্ত করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি বিবেচনার জন্য মোবাইল ফোন অপারেটর নিয়ন্ত্রক কমিশন ও সরকারকে বিনীতভাবে বিবেচনার অনুরোধ করছি।