সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা জনপ্রিয় সেলিব্রেটি তাদেরকে সাধারণত ইনফ্লুয়েন্সার বলা হয়। এই ইনফ্লুয়েন্সার হতে পারে ফেসবুক, টিক টক, ইউটিউব ইনস্টাগ্রামের। এসকল সেলিব্রেটিদের ওপর নজরদারি ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪কোটি৩০ লক্ষ। দ্বিতীয় স্থানে ইউটিউব টিক টক রয়েছে। আমাদের দেশে ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুবই কম। এসকল মাধ্যমে কিছু নারী ও পুরুষ যারা কিনা এসকল মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় তাছাড়া চলচ্চিত্র জগতের নায়ক নায়িকা এমনকি ক্রীড়াজগতের জনপ্রিয় তারকারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স বিন্যাসে হরহামেশা পণ্য বিক্রয় এর বিজ্ঞাপন প্রচারে অংশ নিয়ে থাকে। আর এ সকল বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে সাধারণ গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বা প্রতারিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অথচ এ সকল প্রতিষ্ঠানের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করেছেন বিসিবি ।
ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারা তুলে ধরে তিনি বলেন, আইনে কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বাসে বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসৎ বা মিথ্যা বিজ্ঞাপনের কারণে কেউ প্রতারিত হলে বিজ্ঞাপন প্রচারকারীকে এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান আছে। এ ছাড়া ধারা ২১(২) ঝ এর অধীনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ এর দায়িত্ব দিয়ে বলা হয়েছে যে, কোন ভোক্তা কোন অমুক প্রচারনার ফলে প্রতারিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কি করা হয়েছে তা খেয়াল রাখবেন। দুঃখের বিষয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর এর কঠোর আইন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। উল্টো ই কমার্স প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করা হয়েছে। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই ইনফ্লুয়েন্সার ও প্রতারক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।