দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে ডাক বিভাগকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঢেলে সাজানো কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিভাগের সাবেক ডিজি সুধাংশু শেখর ভদ্রকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চালিয়ে নেযওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
এছাড়াও আইসিটি সেবা দিতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত (রোববার, ২১ মার্চ) ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ৮ম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি এ.কে.এম রহমতুল্লাহর অনুপস্থিতিতে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সিনিয়র সদস্য বেনজীর আহমদ।
আর কমিটির সভাপতির অভিপ্রায়ে বৈঠকে অংশ নেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এছাড়াও কমিটির সদস্য তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, আহমেদ ফিরোজ কবির, মো. নুরুল আমিন, মনিরা সুলতানা, জাকিয়া পারভীন খানম এবং অপরাজিতা হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়। এসময় জানানো হয়- ল্যাব স্থাপিত হলে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং ডিজিটাল সেবার মান অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। তাই কমিটির পক্ষ হতে দুর্গম চরাঞ্চল ও হাওর-বাওর অঞ্চলে ডেনমার্ক সরকারের সহায়তায় আইসিটি সেবা সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়।
অপরদিকে দোয়েল ব্রান্ডের ল্যাপটপের মান উন্নত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে টেশিসের দ্বৈত ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ববোর্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও হয়েছে।
এসময় বিদেশি পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দেশে তৈরি ল্যাপটপ, মোবাইল, প্রি-পেইড এনার্জি মিটার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মান বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসোন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।