করোনা শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই টেকনোলজি ও কমার্সিয়াল ডিভিশনের ১৮০ জন কর্মীকে কর্মহীন করে রেখেছে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। এই কর্মহীন ১৮০ কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (জিপিইইউ) অভ্যন্তরীণ ভাবে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকের কাছে জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে বিগত কয়েক মাস ধরে। কিন্তু গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টির এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা না করায় তাদেরকে অনতিবিলম্বে কাজে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে শনিবার সারাদেশে মানব বন্ধন ও সমাবেশ করেছে জিপিইইউ।
সমাবেশ থেকে জানানো হয়, গ্রামীণফোনের এই ১৮০ জন কর্মীর কর্মহীনতার বিষয়টি ইতোমধ্যে বিটিআরসি, শ্রম অধিদপ্তর সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রমজীবী সংগঠন জিপিইইউ এর এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। এরপরও শ্রম অধিদপ্তর একবার দুপক্ষকে সাথে নিয়ে আলোচনার উদ্দ্যেগ নিলেও গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ সে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছে।
গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (জিপিইইউ) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদের নেতৃত্বে আজকের দেশব্যপী কর্মসূচিতে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে ১৮০ জন কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে নেয়ার জোরালো দাবি জানানো হয়। মিয়া মাসুদ বলেন শ্রমিকের অধিকার ই মানবাধিকার, তাই জিপিইইউ বিশ্বাস করে যে গ্রামীণফোন অনতিবিলম্বে আইএলও কনভেনশন ও মানবাধিকার তথা শ্রমিকের অধিকারের প্রতি সম্মান স্বরূপ এই ১৮০ জন কর্মীকে তাদের কাজে ফিরিয়ে নিবে।
সমাবেশে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরে জিপিইইউ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কিন্তু এখনো গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সমাধান পাই নাই। এখন সময় এসেছে কঠোর আন্দোলনে যাবার, সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার। তিনি আরো বলেন জিপিইইউ এর নেতৃত্বে গ্রামীণফোন এর সকল কর্মীরা অতিসত্তর সারা বাংলাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং শ্রমিকের দাবি আদায় করে ছাড়বে।