এনটিটিএন ও মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে দেশে মানসম্মত টেলিসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিটিআরসি কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না। রেগুলেট করে। তাই আমরা অনিয়মকে রেগুলেট করবো। ব্যবসায় সুযোগ সৃষ্টি করবো।
টেলিকম খাতের যারা স্টেকহোল্ডার আছে তাদের বিভিন্ন সমস্যা সামাধান করা, এ খাতে যারা ব্যবহারকারী আছেন তাদের অসুবিধা দূর করা এবং বিটিআরসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাওয়া মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
সেই লক্ষ্যেই আগামী জুন মাসের মধ্যে এনইআর সেবা চালু করা হবে। সেই লক্ষ্যে মানব সম্পদ ঘাটতি পূরণ করা হবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে টিএমএস প্রকল্পের অধীনে নরজরদারি বাড়ানো হবে বলেও সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন বিটিআরসি প্রধান।
সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত মৈত্র ও নব নিযুক্ত কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার বক্তব্য রাখেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বিটিআরসি আইন সংশোধনের খসড়া হাতে পাইনি। বিটিআরসি’র কর্তৃত্ব বজায় রেখে আইন সংশোধনে মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করবো। তরঙ্গ বরাদ্দে সমন্বয় করবে ডট। তাদের এটি ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআসি করোনাকালে মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে পর্যাপ্ত তরঙ্গ বরাদ্দ নেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। ফোরজি সেবায় গ্রাহক ভোগান্তির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এমন দুরবস্থার মধ্য দিয়েই ফাইভজি সেবা চালুর দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আশা করি ২০২৩ সালের মধ্যেই ফাইভজি সেবা চালু করতে পারবো। এজন্য তরঙ্গ বরাদ্দ, গাইডলাইনের কাজ চলছে।
এসময় বিটিআরসির সশ্লিষ্ট বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের নিজস্ব যন্ত্রপাতি দিয়ে কোয়ালিটি নিশ্চিতে ১২ হাজার কিলোমিটার ৬ মাস ধরে ড্রাইভ টেস্ট করা হবে। প্রতি বিভাগে এ টেস্ট করা হবে। প্রতিমাসে যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে তা অপারেটরদের জানানো হবে।